আশরাফুলের সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক
সেঞ্চুরি করেই চলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল
ক্রীড়া প্রতিবেদক : ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আরেকটি সেঞ্চুরি পেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। টানা তিন ম্যাচে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক ছিল না বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের। আজ আশরাফুল প্রথম এই কীর্তি গড়লেন।
বিকেএসপিতে রেলিগেশন লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১৩৭ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন আশরাফুল। পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, সেঞ্চুরির ইনিংসটি খেলতে নষ্ট করেছেন অনেক বল! অবশ্য শুরু থেকেই ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন। ১০২ বলে হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া আশরাফুল পরের ৩৫ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি।
সেঞ্চুরি পেতে ইনিংসের শেষ ওভারে ৮ রান লাগত আশরাফুলের। সোহরাওয়ার্দী শুভর করা প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে ৯২ থেকে ৯৬ রানে পৌঁছে যান। পরের বলে একটি সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে ফারুক হোসেন এক রান নিয়ে আশরাফুলকে দেন স্ট্রাইক। পরের বলে আশরাফুলের আরো এক রান। পঞ্চম বলে ফারুকের আরো এক রান। সেঞ্চুরি পেতে শেষ বলে আশরাফুলের প্রয়োজন ছিল ২ রান। চার মেরে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের দশম সেঞ্চুরি তুলে নেন কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের এই ব্যাটসম্যান।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে এটি আশরাফুলের পঞ্চম সেঞ্চুরি। শেষ দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকান অগ্রণী ব্যাংক (১০৩*) ও মোহামেডানের (১২৭) বিপক্ষে। আর প্রথম সেঞ্চুরিটি পান প্রাইম দোলেশ্বরের (১০৪) বিপক্ষে, এরপর অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ১০২*। সবশেষ ১১ ইনিংসে পাঁচ সেঞ্চুরি তার। রয়েছে একটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসও, ৬৪।
আশরাফুলের সেঞ্চুরিতে ভর করে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ৩ উইকেটে করেছে ২৫২ রান। রেলিগেশন বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজ জিততেই হবে কলাবাগানকে।
আজকের ইনিংসে ভর করে আশরাফুল এবারের লিগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন। ১৩ ইনিংসে তার রান ৬৬৫। গড় ৬৬.৫০। সেঞ্চুরি-সংখ্যা পাঁচটি হলেও একটি জায়গায় তার পারফরম্যান্স বেশ তলানিতে। ১১ ইনিংসের তিনটিতেই যে রানের খাতা খুলতে পারেননি!
প্রিমিয়ার লিগে এবারই প্রথম দুটির বেশি সেঞ্চুরি হলো (লিস্ট এ মর্যাদা পাওয়ার পর)। মোহাম্মদ আশরাফুল পাঁচটি এবং লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত তিনটি করে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। এর আগের চার মৌসুমে দুটির বেশি সেঞ্চুরি হয়নি একবারও।
দুটি করে সেঞ্চুরি
২০১৩/১৪ মৌসুম: আব্দুল মজিদ, রবি বোপারা।
২০১৪/১৫ মৌসুম: চামারা কাপুগেদারা, এনামুল হক, রাজিন সালেহ, মেহেদী মারুফ, রনি তালুকার।
২০১৬ মৌসুম: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আব্দুল মজিদ, ইমতিয়াজ হোসেন তান্না, তামিম ইকবাল।
২০১৭ মৌসুম: নাসির হোসেন, নাঈম ইসলাম, জুনায়েদ সিদ্দীক, রবিউল ইসলাম রবি, লিটন দাস, ইমতিয়াজ হোসেন, মেহেদী মারুফ, নাজমুল হোসেন শান্ত।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ এপ্রিল ২০১৮/ইয়াসিন/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন