ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

সিটি নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় সরকারকে সতর্ক বার্তা দেবে

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ২৪ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিটি নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় সরকারকে সতর্ক বার্তা দেবে

খুলনায় বক্তৃতা করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া যখন কারাগারে তখন সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।

খুলনা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিদ্যমান ইস্পাত কঠিন ঐক্যকে অত্যন্ত ইতিবাচক আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, জনগণের চেতনাকে জাগ্রত করে ভোটের ফলাফলকে ঘরে তুলতে হবে। স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে না। কিন্ত এর মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের কাছে মেসেজ পৌঁছে যাবে।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত ২০ দলীয় জোটের নির্বাচন পরিচালনা কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

কেসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ২০ দলীয় জোট নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা, সাবেক এমপি কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সাবেক এমপি শেখ মুজিবর রহমান, সাবেক এমপি সৈয়দা নার্গিস আলী, খান রবিউল ইসলাম রবি ও অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক।

সভায় কেসিসি নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত ১৩টি উপ-কমিটির আহ্বায়ক- সদস্য সচিব, বিভিন্ন ইউনিট বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খুলনা বিএনপিকে নিয়ে আমরা আশাবাদী। এখানে রানিং মেয়র মনিরুজ্জামান মনি এবং জেলা বিএনপি সভাপতি শফিকুল আলম মনা দুজনেই মেয়র পদের দাবিদার হয়েও এখন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করছেন। এই শহরের বিশাল কর্মী বাহিনীকে কাজ দেওয়া ও কাজ বুঝে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বহু জেলার বহু মতের মানুষের বসবাস এই কসমোপলিটন শহরে সবার কাছে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান পৌঁছে দিতে হবে।

মেয়র পদে জয়লাভকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, এই ভোটে সরকারের পরিবর্তন হবে না, কিন্ত ভোটের ফলাফল সারা দেশে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।

বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখে সরকার প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেন বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির এই সদস্য। তাকে ডিভিশন দেওয়া হবে কিনা এই সিদ্ধান্ত নিতে পাঁচ দিন সময় নষ্ট করা হয়েছে। প্রসিকিউশন বলছে তিনি অসুস্থ। দলের মহাসচিব গেলেন, পরিবারের সদস্যরা গেলেন, কারো সাথে দেখা হলো না। তাকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। বিনা চিকিৎসায় রাখা হচ্ছে। যাতে এক সময় তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধ্য হন। কিন্ত সরকারের মনে রাখা উচিৎ, গণতন্ত্রের জন্য জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে মানুষটি জীবনের ৩৭ বছর রাজপথে সংগ্রাম করেছেন, সারা জীবন যিনি কখনো মাথা নত করেননি, শেষ জীবনেও তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবেন না।

তারেক রহমানের পাসপোর্ট নিয়ে সরকার নোংরা রাজনীতি করছে দাবি করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন,  দেশের মাত্র ৫ ভাগ মানুষের পাসপোর্ট আছে। বাকি ৯৫ ভাগ মানুষের পাসপোর্ট নেই।  তাহলে তারা কি দেশের নাগরিক না?

এরপর একই স্থানে ২০ দলীয় জোট নেতাদের সাথে বৈঠক করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জোটের সমন্বয়ক অ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা। উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইমরান হোসাইন, বিজেপির নগর সভাপতি অ্যাড. লতিফুর রহমান লাবু, পিপলস লীগের সভাপতি ডা. সৈয়দ আফতাব হোসেন, জেপির সভাপতি মোস্তফা কামাল, মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আক্তার জাহান রুকু, বিজেপির সিরাজউদ্দিন সেন্টু, জামায়াতের অ্যাড. শাহ আলম ও খান গোলাম রসুল, খেলাফত মজলিসের মাওলানা আব্দুল্লাহ জোবোয়ের, বিজেপির খান মনিরুজ্জামান। বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান, রবিউল ইসলাম রবি, অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক, মনিরুজ্জামান মন্টু প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/খুলনা/২৪ এপ্রিল ২০১৮/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়