ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরেছেন সুবর্ণচরের ধর্ষিত নারী

মাওলা সুজন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০১, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরেছেন সুবর্ণচরের ধর্ষিত নারী

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার চার সন্তানের জননী হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরেছেন।

বৃহস্পতিবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শারীরিকভাবে অনেকটা সুস্থ থাকায় তাকে ছাড়পত্র দেয়। ১৭ দিন হাসপাতালের বিছানায় কাটিয়ে বাড়ি ফিরলেও নিজ এলাকায় নিরাপত্তাহীনতার ভীতি তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর ধর্ষণের শিকার ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। শুরুর দিকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। পরবর্তীতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় বিভিন্ন মেডিক্যাল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ। স্বাভাবিক খাওয়া-ধাওয়া ও নিজে নিজে চলাফেরা করতে পারছেন।

আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তাকে অর্থোপেডিক বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া যেকোনো সমস্যা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেয়।

নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, সকলের সার্বিক সহযোগিতায় অনেকটা সুস্থ হলেও বাড়ি যাওয়ার পর নিরাপত্তা নিয়ে ভয় পাচ্ছেন। শারীরিকভাবে মোটামুটি ভালো অনুভব করলেও মানসিকভাবে এখনো বিপর্যস্ত ওই নারী। তারা বলছেন, যারা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, তাদের লোকজন এই বলে ভয় দেখাচ্ছেন- থানা-পুলিশ তোদের কয় দিন পাহারা দেবে? প্রশাসন কয়দিন তোদের পাশে থাকবে?

এই বিষয়ে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদ বলেন, নির্যাতিতা নারীকে পুলিশ গাড়িতে করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। নিরাপত্তার ব্যাপারে যে আশংকার কথা বলছেন পরিবারের সদস্যরা, সেই বিষয়ে পুলিশ সজাগ রয়েছে। কেউ যদি নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাতে চেষ্টা করে, সে যেই হোক পুলিশ কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেবে। ওই নারীর বাড়ির আশপাশে পুলিশের নজরদারি থাকবে।

গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে ১০-১২ জনের একদল লোক ঘরে ঢুকে প্রথমে স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে মারধর করে। পরে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী নয় জনের নাম উল্লেখ করে গত ৩১ ডিসেম্বর চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারভুক্ত ছয়জন এবং তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আট আসামি।




রাইজিংবিডি/নোয়াখালী/১৭ জানুয়ারি ২০১৮/মাওলা সুজন/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়