ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রসারের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে’

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৯, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রসারের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশে এসএমই এবং পরিবেশ বান্ধব ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রসারে ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদেরকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফাইন্যান্সিং ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে একথা উল্লেখ করা হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি, বিডি ভেঞ্চার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এহসানুল হক এবং মসলিন ক্যাপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালী উল মারুফ মতিন।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবিবের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ক্ষেত্রে বেশকিছু বাঁধা রয়েছে। এসব বাঁধা একসঙ্গে দূর করা সম্ভব নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এসব বাঁধা কমিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করছে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল তহবিলের সঙ্গে জড়িতদের সচেতনতা বাড়ানো জরুরী। অনেক দেশে ভিসিএফ (ভেঞ্চার ক্যাপিটাল) সংস্থাগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আর্থিক অথরিটির কাছে পাঠানোর প্রয়োজন হয়না।’ অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয়না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়ক জামানত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কিন্তু আইটি এবং পর্যটন খাতে এসব উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে হবে যাতে তাদের উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়। এতে আর্থিক অন্তর্ভূক্তি বেড়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল মার্কেটের উন্নয়নে অনভিজ্ঞদের অভিজ্ঞ করে তুলতে হবে। তা না হলে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হবে না। এ খাতে উচ্চ ঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এসডিজি অর্জনে ভূমিকা রাখবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল।’

বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইয়াছিন আলী বলেন, ‘নতুন আইডিয়াই হচ্ছে একটা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল। ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ফান্ডে সহযোগী হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ভূমিকা পালন করতে হবে। সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে এক্ষেত্রে সক্রিয় হতে হবে।’

বিডি ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘যেকোনো উদ্যোগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকবে। পোর্টফোলিও দেখে সেটা নির্দিষ্ট করতে হবে।’ ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ঝুঁকিগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানসম্মত অডিট রিপোর্ট না পাওয়াসহ অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা বলেন, ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড দুটোই আলাদা বিষয়। এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখা উচিত। ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জন্য স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার নীতিমালা প্রয়োজন।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/নাসির/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়