ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বাণিজ্য মেলায় বাড়ছে ওয়ালটন ফ্রিজের চাহিদা

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৭, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাণিজ্য মেলায় বাড়ছে ওয়ালটন ফ্রিজের চাহিদা

ছবি : শাহীন ভূইয়া

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : এক সময় ফ্রিজ একটি সৌখিন পণ্য হিসেবে গণ্য হলেও এখন সব শ্রেণির মানুষের কাছে অত্যাবশ্যকীয় গৃহস্থালী পণ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে ফ্রিজের চাহিদা।

এ চাহিদার জোগান দিতে সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চ গুণগতমানের পণ্য, আকর্ষণীয় ডিজাইন ও কালার, দ্রুত এবং সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা, সর্বোপরি দেশেই তৈরি হয় বলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার প্রথম দিন থেকেই গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ। বাণিজ্য মেলায় অন্যান্য ব্র্যান্ডের ফ্রিজ থাকলেও মেলা শুরু প্রথম দিন থেকেই ক্রেতাদের কাছে ওয়ালটন ফ্রিজের কদর একটু বেশি।

রোববার বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটনের প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা যায়, মেলার তৃতীয় দিনে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে ছিল ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। প্রথম দিন থেকেই ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এলইডি টিভি, স্মার্টফোন, ল্যাপটপসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস পণ্য প্রচুর বিক্রি হচ্ছে।

 



এ বিষয়ে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের (নম্বর-২৩) সমন্বয়ক মোস্তফাজ্জামান জানান, বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের জগতে ওয়ালটন একটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড। একটি ফ্রিজ শুধু দৈনন্দিন গৃহস্থালী প্রয়োজন মেটায় না, গৃহের সৌন্দর্য্য বর্ধনেও ভূমিকা রাখে। আর দেশি পণ্য হিসেবে ওয়ালটনের চাহিদা সব সময় বেশি। ওয়ালটন ফ্রিজে শতভাগ কপার কনডেন্সার এবং ৮০ শতাংশ এনার্জি সেভিং এলইডি ল্যাম্প ব্যবহৃত হয়। সাধারণ ফ্রিজের তুলনায় এ ফ্রিজের ডিপ অংশও অনেক বড়। ডিএসইসিএস প্রযুক্তির ফলে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম এবং এতে সর্বোচ্চ মানের কম্প্রেসার রয়েছে। দেশের আবহাওয়ার জন্য ওয়ালটন সবচেয়ে উপযোগী।

ওয়ালটন ফ্রিজের রং ও ডিজাইনে ওঠে এসেছে দেশের কৃষ্টি-কালচার এবং নানা ঐতিহ্য। যা দেখতে সুন্দর, সাশ্রয়ী মূল্য এবং উচ্চমানের। ফলে ক্রেতাদের মাঝে দেশি পণ্য কেনার প্রবণতাও একটু বেশি বলেও জানান তিনি।

ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন ম্যানেজার শফিকুল আলম জানান, মেলা শুরুর প্রথম দিন থেকেই সব ধরনের পণ্য বেশ বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের নতুন মডেলের স্মার্ট ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ডাবল ডোর ফ্রিজ, ৩৮০ লিটারের গ্লাস ডোর, ৫৬৩ লিটারের নন ফ্রস্ট ডাবল ডোর রেফ্রিজারেটর বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৩১৭ লিটার ও ৩৬৫ লিটারের ফ্রস্ট ফ্রিজ, ৩২৩ লিটারের স্মার্ট ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার সম্বলিত ডিজিটাল ডিসপ্লে, সাইড বাই সাইড নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ ও ব্যাচেলর ফ্রিজ ক্রেতাদের নজর কেড়েছে বেশ।

 



তিনি আরো বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজ দেশে তৈরি হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বড় ডিপের ফ্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। যা আমদানি করা ফ্রিজে থাকে না। এই ফ্রিজ কিনলে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের আলাদাভাবে ডিপ ফ্রিজের দরকার হয় না। ফলে গ্রাহকরা ওয়ালটন ফ্রিজের প্রতি বেশি আগ্রহী।

মেলায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে ফ্রিজ কিনতে আসা আবু সালেহ বলেন, ওয়ালটন আমাদের দেশের কোম্পানি। এছাড়া অন্যান্য ফ্রিজের চেয়ে ওয়ালটনের দাম অনেক কম, তবে মান একই। এ কারণে আমি ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনেছি। যাত্রাবাড়ী আমার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও নিয়েছে তারা। এমন সুবিধা অন্য সব প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে কি না আমার ধারণা নেই।

প্রসঙ্গত, মেলা উপলক্ষে দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ চালু করেছে ওয়ালটন। পণ্য কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পাবেন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। পেতে পারেন কোটি কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ মোটরসাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, এলইডি টিভি, ওভেনসহ অসংখ্য পণ্য ফ্রি। রয়েছে নিশ্চিত ক্যাশব্যাক।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ জানুয়ারি ২০১৯/নাসির/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়