ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বছর শেষে খেলাপি ঋণ কমার আশা গভর্নরের

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বছর শেষে খেলাপি ঋণ কমার আশা গভর্নরের

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বছর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১১ দশমিক ৫০ শতাংশের কাছাকাছি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটরিয়ামে আয়োজিত ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং সিস্টেম সংক্ষেপে ‘আইসিআরআরএস’ নীতিমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

গভর্নর বলেন, ‘মোট ঋণের বিপরীতে আমাদের দেশের যে খেলাপি তা অবশ্যই আশঙ্কাজনক। তবে বছর শেষে এই খেলাপি ঋণ কমে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকারদের বোঝা উচিত গ্রাহকদের চাহিদা কী। কোন কারণে তারা খেলাপিতে পরিণত হচ্ছেন।’ কোনো ব্যবসা শুরু করার পর উৎপাদনে যেতে যদি টাকার প্রয়োজন হয় তবে তাদের সহোযোগিতা করার পরামর্শ দেন গভর্নর। তবে সেক্ষেত্রে গ্রহীতার গুণগত মানটাও বিবেচনায় রাখতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলো এখন থেকে প্রত্যেক ঋণগ্রহীতার একটি রেটিং করবে এবং এ-সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডার তৈরি করবে। এ রেটিংয়ে পরিমাণ ও গুণগত উভয় ধরনের সক্ষমতার মূল্যায়ন থাকবে।

এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আইসিআরআরএস নীতিমালার ফলাফল এখনই বোঝা যাবে না। পুরোপুরি বাস্তবায়ন হওয়ার পরেই এর রেজাল্ট পাওয়া যাবে। তবে এই নীতি বাস্তবায়ন করতে সক্ষমতা মূল্যায়ন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। লিখিত আকারে জমা খরচের বিস্তৃত বিবরণ বা ব্যালেন্স শিট প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যক্তিগত ব্যাংকগুলো যৌথভাবে প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে পারে।’

নীতিমালা অনুযায়ী মূল্যায়নের ভিত্তিতে গ্রাহককে চার শ্রেণিতে ভাগ করবে ব্যাংকগুলো। কোনো গ্রাহক ‘চমৎকার’ (এক্সিলেন্ট) বা ‘ভালো’ (গুড) রেটিং পেলে ব্যাংক তাকে অর্থায়ন করতে পারবে। ‘প্রান্তিক’ (মার্জিনাল) রেটিংধারী গ্রাহককে পুরোনো ঋণ নবায়ন বা নতুন করে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

তবে ‘অগ্রহণযোগ্য’ রেটিংধারীকে কোনো পরিস্থিতিতেই নতুন ঋণ দিতে পারবে না ব্যাংকগুলো, যদি না আগের ঋণ শতভাগ নগদ পরিশোধ হয় অথবা জামানত দিয়ে ঋণটি আচ্ছাদন করা হয়। ‘অগ্রহণযোগ্য’ (আনএকসেপ্টেবল) রেটিংভুক্ত গ্রাহকের আগের ঋণ সর্বোচ্চ দুবার নবায়ন বা বর্ধিত করা যাবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জানুয়ারি ২০১৯/হাসান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়