ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

আয়কর পরিশোধযোগ্যরা আয়কর দেন না : অর্থমন্ত্রী

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ৮ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আয়কর পরিশোধযোগ্যরা আয়কর দেন না : অর্থমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশে চার কোটি মধ্য আয়ের মানুষ থাকলেও আয়কর দেন মাত্র পাঁচ লাখ মানুষ। আয়কর পরিশোধযোগ্য ব্যক্তিরা আয়কর দেন না। সবাই আয়কর পরিশোধ করলে রাজস্ব আদায় নিয়ে চিন্তা করতে হতো না। উন্নয়নের গতি বাড়তো।

বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অভিমতে দুর্নীতি কমানো গেলে ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘এদেশে চার কোটি মধ্য আয়ের মানুষ আছে। সেখানে ট্যাক্স দেয় পাঁচ লাখ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যা বলেছে, সত্য কথা বলেছে। চার কোটি মানুষ ট্যাক্স দিলে ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত অনেক বেড়ে যেত। এখন যেটা মাত্র ১০ শতাংশ।

‘‘তবে আগামী বাজেটে ট্যাক্স না দিয়ে কেউ থাকতে পারবে না। যারা দিয়েছেন, তারা ট্যাক্স দেবেন, আর যারা দিচ্ছেন না, তারাও দেবেন। এমন ব্যবস্থাই করা হবে।’’

আগামী বাজেট অর্থমন্ত্রী হিসেবে আপনার জীবনের প্রথম বাজেট। এ বাজেটে কোন কোন খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ওই সাংবাদিককে উদ্দেশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাজেটের অগ্রাধিকার হচ্ছেন আপনি। আপনাকে অগ্রাধিকার দিয়েই বাজেট প্রণয়ন হবে। দেশের সকল মানুষের জন্য বাজেট। এবং দেশের মানুষকে প্রাধান্য দিয়েই বাজেট তৈরি করবো। দেশের উন্নয়ন হয়, প্রত্যেকটি মানুষের যেন উপকারে আসে এবং প্রত্যেকটি সেক্টরকে আরও বিকশিত করার মতো করে বাজেট দেবো।’’

কোন কোন খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখন বলবো না, অপেক্ষা করেন। বাজেটের মজা পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে।’’

দেশের ব্যাংকিং সেক্টর ও শেয়ারবাজারের জন্য কী থাকছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকি সেক্টরের জন্য উপযোগী যা দরকার, সব থাকবে। শেয়ার মার্কেটসহ বাজেটে সব খাত নিয়ে কথা থাকবে বলেও জানান তিনি। তবে নির্দিষ্ট করে এ মুহূর্তে কোনো কথা বলেননি। কারণ নির্দিষ্ট করে বলার মতো সময় এখনো আসেনি।

‘‘এখনই বাজেট নিয়ে খোলাখোলি কথা বলার কিছু নেই। সবার চাহিদা পূরণ করতে আমরা চেষ্টা করবো। তারপরও শতভাগ পূরণ করা সম্ভাব নয়, এটা ভালো করেই জানেন। রাজস্ব আহরণ করতে হবে। তারপর প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।’’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজেট প্রণয়নে চ্যালেঞ্জ নেই। বাস্তবায়নেই মূল চ্যালেঞ্জ। অর্থ যোগানের সমস্যা নেই। বাজেট ঘাটতি হবে ৫ শতাংশ। এটা গতবারও ছিল, তার আগেরবারও ছিল। এটা স্ট্যান্ডার্ড।

খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের বিষয়টি বাজেটে নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেওয়া হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে তিনি জানান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ মে ২০১৯/হাসনাত/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়