চুয়েটে পদার্থ বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উদ্যোগে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী পদার্থ বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স।

রোববার সকালে নগরীর মোটেল সৈকতে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত ‘ফিজিক্স ফর সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি’ শীর্ষক এই কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বিশ্ব এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হাত ধরে এই বিপ্লব এগিয়ে যাচ্ছে। উদ্ভাবন হচ্ছে এর মূল চালিকাশক্তি। তথ্যপ্রযুক্তি বর্তমান সময়ে উন্নয়নের বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। সেজন্য টেকসই উন্নয়নের বিকল্প নেই। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন। পৃথিবীর সব উন্নত দেশ তাদের শিল্পায়ন ও নগরায়নের জন্য টেকসই প্রযুক্তিকে বেছে নিচ্ছে। বাংলাদেশেও এখন টেকসই উন্নয়নকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চুয়েটের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্স থেকে টেকসই উন্নয়ন ও প্রযুক্তি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং কনফারেন্স চেয়ার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

এতে গেস্ট অব অনার ছিলেন চুয়েটের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর এবং কনফারেন্সের টেকনিক্যাল চেয়ার ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রশীদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন।

এবারের কনফারেন্সে বাংলাদেশ ছাড়াও সুইডেন, জাপানসহ পৃথিবীর ৯টি দেশ হতে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের অন্তত দেড় শতাধিক শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানি, প্রফেশনাল এবং উদ্যোক্তাগণ অংশগ্রহণ করছেন। কনফারেন্সে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের পাশাপাশি প্রযুক্তি সম্পর্কিত তথা বর্তমান বিশ্বের আলোচিত ইস্যু ‘টেকসই উন্নয়ন ও প্রযুক্তি’ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধসমূহ উপস্থাপিত হচ্ছে।

কনফারেন্সের প্রথম দিন কী-নোট স্পিকার হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- সুইডেনের উপশালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার নরদব্লাদ, জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাতোশি ওয়াতাউছি।



রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১০ ডিসেম্বর ২০১৭/রেজাউল করিম/রুহুল