ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কেউ রেহাই পাবে না : শিক্ষামন্ত্রী

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ৬ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কেউ রেহাই পাবে না : শিক্ষামন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ফাঁস হওয়া প্রশ্নে যারা এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তাদের কেউ রেহাই পাবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নে যারা পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের সবাইকে খুঁজে বের করা হচ্ছে। তাদের কেউই রেহাই পাবেন না। প্রশ্ন কেনা বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যারা লেনদেন করেছেন তাদেরকেও চিহ্নিত করা হচ্ছে।

‘পরীক্ষার সময় অনেকে ধরা পড়েছে, তার মধ্যে ১৫৭ জন জেলে আছে, ৩২টি মামলা হয়েছে। পরে আরো শতাধিক ধরা পড়ে। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। বর্তমানে তারা জেলে আছে’-উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, যারা একবার গ্রেপ্তার হয়েছেন, ধরা পড়েছেন তাদের সবার পরীক্ষা, ছাত্রজীবন, শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এতে কোনো সন্দেহ নাই।

উত্তরপত্র ভালভাবে দেখার কারণে গতবারের মত এবারও পাসের হার কমেছে, তবে শিক্ষার মান বেড়েছে এবং ঝরে  পড়া শিক্ষার্খীর সংখ্যা কমেছে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ।

তিনি বলেন, মূল্যায়নের পদ্ধতি পরিবর্তনের কারণ এবার সার্বিকভাবে পাসের হার কমেছে। আগে অনেকে খাতা না দেখেই নম্বর দিয়ে দিতেন। এখন ভালো করে খাতা দেখার ফলে গতবারের মত এবারও পাসের হার কমেছে।

মন্ত্রী বলেন, এখন আগের চেয়ে উন্নতমানের মূল্যায়ন হয়। আগে হয়তো শিক্ষকেরা ঠিকমতো মনোযোগ দিয়ে উত্তরপত্র দেখতেন না। এখন সেই সুযোগ কম। এখন পুন:মূল্যায়নে নানা পদ্ধতি রাখা হয়েছে। সব শিক্ষক যেন সমমানে মূল্যায়ন করেন সেজন্য আগে থেকেই দিক নির্দেশনা ঠিক করে পরীক্ষকদের দেওয়া হয়। এর ফলে সারা দেশে সমতা এসেছে। পরীক্ষার খাতাও ভালোভাবে দেখা হয়। তার প্রভাব ফলাফলে পড়তে পারে। তিনি বলেন, এটাই একমাত্র কারণ নয়। পাসের হার কমার আরো অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে।

গতবারের চেয়ে এবার কুমিল্লা বোর্ডের ভালো ফলাফলের কারণ জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কুমিল্লা বোর্ড গত দুই বছর খারাপ ফলাফল করে। আমাদের তাগিদ ছিল, বোর্ডকে সজাগ করেছি। সব বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে সেখানে ব্যাপক প্রচেষ্টা নিয়েছি যেন ঘাটতি পূরণ করতে পারে, এখন সমতায় আসছে।’ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ডসহ সবার টানা দুই বছরের চেষ্টায় কুমিল্লা বোর্ডে এবার ভালো ফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন নাহিদ।

গত বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ফল বিপর্যয় হলেও এবার এ বোর্ডের ফল তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছে। সার্বিকভাবে আট সাধারণ বোর্ডের পাসের হার যেখানে ৭৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, সেখানে কুমিল্লা বোর্ডে পাস করেছে ৮০ দশমিক ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ মে ২০১৮/নঈমুদ্দীন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়