ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ব্যতিক্রমী জীবনীগ্রন্থ ‘আমিই অ্যালবার্ট আইনস্টাইন’

তাপস রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ব্যতিক্রমী জীবনীগ্রন্থ ‘আমিই অ্যালবার্ট আইনস্টাইন’

সাহিত্য ডেস্ক: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হলো কবি ও গল্পকার অঞ্জন আচার্যের ব্যতিক্রমী জীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আমিই অ্যালবার্ট আইনস্টাইন’। বইটি প্রকাশ করেছে উৎস প্রকাশন।

বইটির সারসংক্ষেপ এমন : বাবাকে ডেকে এনে স্কুলের শিক্ষক নিশ্চিত গ্যারান্টি দিয়েছিলেন- ‘আপনার অকর্মা ছেলেকে দিয়ে জীবনে কিচ্ছু হবে না। সব পণ্ডশ্রম!’ অথচ সেই ‘অকর্মা’ ছেলেটিই যে একদিন পাল্টে দেবেন বিজ্ঞানের মানচিত্র, তা কে ভেবেছিল সেদিন? একটা সময় টিউশন করে পেট চালাতে হয়েছিল তাঁকে। বহু কষ্টেসৃষ্টে জোগার করেন সাধারণ এক প্যাটেন্ট অফিসের দ্বিতীয় শ্রেণির কাজ। সেই অফিসে চাকরিকালেই মানুষটি যখন নামিদামী এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগপত্র পান, তখন অফিসটির পরিচালক শুনে ভেবেছিলেন, এ নেহাত ঠাট্টা বৈ কিছু নয়। কারণ, এত লোক থাকতে ওই মানুষকে কেন বিশ্ববিদ্যালয়টি অধ্যাপকের মতো পদ দিতে যাবে?

জীবন চলার পথে এমনই কতশত অপমান সয়ে, নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তবুও একটু একটু করে এগিয়ে গেছেন তিনি। আর হয়ে ওঠেছেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয় এই ব্যক্তিকে ঘিরে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের অন্ত ছিল না। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত জীবনের বিষয়ে সবসময়ই মুখে কুলুপ এঁটে থাকতেন। কাউকেই কিছু বলতে চাইতেন না। এমনকি জীবদ্দশায় দু’বার তাঁর জীবনীগ্রন্থ প্রকাশ করার উদ্যোগ নেন দুই লেখক। সেখানেও যথেচ্ছ কলম চালান তিনি নিজেই। কী ছিল সেই সব কথা, যা তিনি কাউকেই বলতে চাননি? কেন তিনি তাঁর সমস্ত দলিল রেখে যান ব্যক্তিগত সহকারীর কাছে? শর্ত দিয়ে যান, মৃত্যুর পর যেন সেগুলো দান করা হয় জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে, আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেন সেগুলো গোপনে সংরক্ষণ করেন। কেন এই আড়াল করা? কী এমন ঘটনা ছিল তাহলে জীবনে? সেই গোপন সিন্দুকে আলো ফেলা হয়, এক এক করে সমস্ত দলিল ঘেঁটে বের করা হয় অজানা এক অ্যালবার্ট আইনস্টাইনকে। প্রচলিত মিথ বা কিংবদন্তিগুলো একপাশে সরিয়ে তুলে আনা হয়েছে ভালো-মন্দ মিলিয়ে এক রক্তমাংসের মানুষকে, এক বিজ্ঞানীকে।

বই সম্পর্কে জানতে চাইলে অঞ্জন আচার্য বলেন, ‘ভিন্ন এক আঙ্গিকে বইটি লেখা হয়েছে। বাংলাদেশের এক কিশোরের সঙ্গে অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের কাল্পনিক কথোপকথন দিয়ে সাজানো হয়েছে এটি। আঙ্গিকের প্রয়োজনে এমনটা প্রয়োগ করা হলেও ব্যবহৃত সকল তথ্যই বাস্তব সত্য। বইটিতে এমন অনেক তথ্যের সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে, যার অনেকের কাছেই অজানা।’১১২ পৃষ্ঠার এই বইটির মূল্য দুইশ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন মুস্তাফিজ কারিগর।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়