ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

মতিরহাট ও আলেকজান্ডার মেঘনা সৈকতে অপূর্ব লক্ষ্মীপুর

জুনাইদ আল হাবিব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ১৯ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মতিরহাট ও আলেকজান্ডার মেঘনা সৈকতে অপূর্ব লক্ষ্মীপুর

জুনাইদ আল হাবিব : বিশাল জলরাশি। প্রতিক্ষণ জোয়ার-ভাটার স্রোত খেলা করে। ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাচে নৌকা। নদীর বুক থেকে সরাসরি ঢেউ আছড়ে পড়ে কূলের বেলাভূমিতে। এমন দৃশ্য মতিরহাট ও আলেকজান্ডার মেঘনা সৈকতে। লক্ষ্মীপুর জেলার সর্বদক্ষিণের জনপদ কমলনগর ও রামগতির পশ্চিম উপকূলের সীমানা ছুঁয়ে এ দুটি সৈকতের অবস্থান।

লক্ষ্মীপুর জেলার পরিচিতিতে ইলিশের অবদান যদিও অনন্য, তবে সৈকত দুটিও জেলাকে পরিচিত করছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে। মেঘনাতীরের এ জনপদে এ দুটি অঘোষিত পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় নিয়মিত। কম খরচে, কম সময়ে, কে না চায় এমন স্থান ভ্রমণ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে খুব অনায়াসেই এখানে পর্যটকরা আনন্দঘন সময় কাটাতে পারছেন।

মতিরহাট মেঘনা সৈকত : প্রকৃতির অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যে গড়ে ওঠা এ স্থানটি ইতিমধ্যে নজর কেড়েছে কাছের ও দূরের পর্যটকদের। ভ্রমণপিপাসু বহু পর্যটক ও পর্যটনমুখী অনেক সংগঠনের পা পড়েছে জেলার কমলনগরের মতিরহাটের মেঘনাতীরে। এখানের সুন্দর সৈকত যেকারো মনের গভীরে নাড়া দিবে। বিশাল বেলাভূমি নিয়েই এখানে সৈকত জেগে আছে। যে কেউ চাইলে বেলাভূমির পথ ধরে হাঁটতে পারবে বহুদূর। ইচ্ছে করলে নদীতে গোসল করতেও কারো জন্য মানা নেই। এখানে সৈকত ও বেড়িবাঁধ দুটোই রয়েছে। আর নদীরপাড়ে নারকেল-সুপারির বিশাল বাগান তো আছেই। যেখানে বেলা কাটানো কোনো ব্যাপারই না। মতিরহাট মেঘনা সৈকতে যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে জেলা শহরে ঝুমুর স্টেশন। সেখান থেকে বাস অথবা সিএনজি যোগে রামগতি রোডে তোরাবগঞ্জ এবং সেখান থেকে সিএনজিতে করে মতিরহাট রোডে একদম নদীরপাড়।

আলেকজান্ডার মেঘনা সৈকত : জেলার রামগতি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এটি। মূলত এটি একটি বেড়িবাঁধ। মেঘনার ভাঙন থেকে জেলার রামগতির ভাঙন কবলিত মানুষের ভিটে রক্ষার জন্য এ নদীবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। আলেকজান্ডার শহর ঘিরে এ বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল। শহর ও নদী খুব কাছাকাছি হওয়াতে পর্যটকরা ইচ্ছে করলেই বেড়িবাঁধে যেতে পারেন। তাই এখানে পর্যটক সমাগম তুলনামূলক অনেক বেশিই। এ বেড়িবাঁধ থেকে দক্ষিণে তাকালে কোনো জনপদ চোখে পড়বে না। দক্ষিণে যতদূর চোখ যাবে, চোখটা যেন নদীর দিকেই ছুটবে। নদীর ঢেউগুলো আছড়ে পড়ে বাঁধের ওপর। লোক সমাগম দেখে স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগও হাতে নিয়েছে। পর্যটকরা ভ্রমণে ক্লান্ত হলে একটু বসে যেন ক্লান্তি দূর করতে পারে সে ব্যবস্থাটুকু করা হয়েছে। অন্যদিকে সম্প্রতি আরো একটি দারুণ দৃশ্যের দেখা মিলে এই নদীপাড়ে। এখানে স্থাপন করা হয়েছে ল্যাম্পপোস্ট। ফলে রাতের বেলায়ও নির্বিঘ্নে নদীরপাড়ে আড্ডা, গল্প জমানো সম্ভব হচ্ছে। শুধু প্রশাসন নয়, এ সৈকতের সুরক্ষায় ‘স্বপ্ন নিয়ে’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন বেশ কিছু প্রশংসনীয় উদ্যোগও নিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সৈকতের পরিবেশ যেন পরিষ্কার থাকে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ মে ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়