ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নার্স নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৯, ৬ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নার্স নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষার প্রশ্ন বৃহস্পতিবার রাতে ফাঁস হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, একটি চক্র চড়ামূল্যে এই প্রশ্ন বিক্রি করেছে। ফাঁস হওয়া প্রশ্ন আর সকালে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রশ্নে মিল রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই প্রশ্ন সাংবাদিকদের হাতেও পৌঁছায়।

গত ১০ আগস্ট বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) চার হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ১৬ হাজার ৯০০ জন আবেদন করে। শুক্রবার রাজধানীর ১২ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বিপিএসসি পরীক্ষার জন্য চার সেট প্রশ্নপত্র ছাপায়। কামিনী, হাসনাহেনা, রজনীগন্ধা, শিউলি। চার সেটই ফাঁস হয়ে যায়। তবে পরীক্ষা হয়েছে কামিনী সেটে। ফাঁস হওয়া কামিনী সেট ও পরীক্ষা হওয়া কামিনী সেটের প্রশ্নে হুবহু মিল রয়েছে।

পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় অনেক প্রার্থী ও অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা এই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন বিক্রেতারা তাদের পরিচিতদের ফেসবুক, ইমো, ভাইবার, হটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্ন কেনাবেচা করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স নেতা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তার কাছেও প্রশ্ন কেনার প্রস্তাব আসে। কিন্তু তিনি তাদের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে ঘুমিয়েছেন।

পরীক্ষা দেওয়ার পর বেসকারি হাসপাতালে কর্মরত রাবেয়া বলেন, ‘পরীক্ষা দিতে গিয়ে শুনেছি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। শুনে খুব খারাপ লেগেছে। যতটুকু আশা ছিল তাও আর নেই। যারা প্রশ্ন কিনতে পেরেছে, তাদেরই হয়তো চাকরি হবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নার্স নেতা বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও বিপিএসসির অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিএনপি-জামায়াতপন্থী কয়েকজন নার্স নেতা এসব কাজ করে থাকে। তারা বিএনপি-জামায়াতপন্থী হলেও এখন আওয়ামীপন্থী সেজে অপকর্ম করছে। এগুলো দমন করতে না পারলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।

আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পরই একটি চক্র নেমে পড়ে নিয়োগ বাণিজ্যে। তারা একটি নিয়োগের জন্য ছয় লাখ টাকা করে নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে নার্সিংয়ের ডিজি তন্দ্রা শিকদার ও পরিচালক নাসিমা পারভীনকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেননি। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে ফোন করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নার্স নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি গুজব বলে একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে বিপিএসসি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ অক্টোবর ২০১৭/সাওন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়