ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ফের ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি সম্পর্কে সতর্ক করেছে হু

এনএ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ১২ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফের ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি সম্পর্কে সতর্ক করেছে হু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সারা বিশ্বে আবারো একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি সম্পর্কে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বিশ্বকে আসন্ন এই মহামারির কারণে সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এই মহামারি প্রতিরোধে সোমবার একটি বৈশ্বিক কৌশলগত পরিকল্পনাও (২০১৯-২০৩০) প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই সংস্থা।

একই সঙ্গে বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এই মহামারি যেন মারাত্মক কোনো বিপর্যয় ডেকে আনতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

সংস্থাটি বলছে তাদের এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে- মৌসুমি ফ্লু প্রতিরোধ, প্রাণীদেহ থেকে মানুষের শরীরে ফ্লুর ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারির বিষয়ে সতর্ক থাকা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছে, মরণব্যাধি হিসেবে ফ্লু ভাইরাস একদিন পশু-প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়বে। আর এই ফ্লু সংক্রমিত হবে লাখো মানুষের শরীরে। আর প্রত্যেক মৌসুমে ফ্লু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তাতে আক্রান্ত হবে কোটি কোটি মানুষ।

জাতিসংঘের এই সংস্থা বলছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি আকারে দেখা দেবে ‘সেটা অবধারিত কিন্তু কখন হবে এটাই হলো বিষয়।

সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাদানম গেব্রিয়েসাস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মহামারি ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাবের হুমকি সবসময়ই ছিল। বর্তমান হুমকি হচ্ছে নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রাণীদেহ থেকে মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ছে যা মহামারির রূপ নিচ্ছে। আমাদের এ বিষয়ে অবশ্যই সাবধান ও প্রস্তুত থাকতে হবে। একটি বড় ধরনের মহামারি যদি ছড়িয়ে পড়ে তা প্রতিরোধে আমাদের চরম মূল্য দিতে হতে পারে।’

বিশ্বে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এখনো সর্বাপেক্ষা বড় হমকিগুলোর একটি এই ইনফ্লুয়েঞ্জা। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রায় একশ কোটি লোক স্বাস্থ্য হুমকিতে পড়ছে যাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৫০ লাখের অবস্থা গুরুতর। আর এর মধ্রে ইনফ্লুয়েঞ্জাজনিত কারণে মৃত্যু হচ্ছে ২ লাখ ৯০ হাজার থেকে সাড়ে ছয় লাখে লোকের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করেছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর হচ্ছে ভ্যাক্সিন। বিশেষ করে যারা উচ্চ ঝুঁকিতে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এই ভ্যাক্সিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মহাপরিচালক টেড্রোস জানান, তারা অনেক বছর ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মহামারি প্রতিরোধে কাজ করছেন। পরবর্তী মহামারির বিষয়ে বিশ্ব অনেকটা প্রস্তুত। কিন্তু এটি যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের দেশগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে যৌথভাবে কাজ করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ মার্চ ২০১৯/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়