ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ব্রেক্সিট : আবারো হেরে গেছেন থেরেসা মে

এনএ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ১৩ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ব্রেক্সিট : আবারো হেরে গেছেন থেরেসা মে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রেক্সিট প্রশ্নে পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে আবারো হেরে গেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে সমর্থন আদায়ে দ্বিতীয়বারের মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তা পার্লামেন্টে ভোটে দেওয়া হয়। কিন্তু ৩৯১ এমপিই এর বিপক্ষে ভোট দেন। থেরেসা মে অর্থ্যাৎ চুক্তির পক্ষে ভোট দেন ২৪২ জন। 

চুক্তিটি পাস না হওয়ার কারণে প্রায় দুই বছর ধরে চলা সমঝোতার মাধ্যমে বিচ্ছেদ কার্যকরের সব চেষ্টাই আপাত ব্যর্থ হলো। ফলে ব্রেক্সিট নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও দীর্ঘায়িত হলো।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি থেরেসা মের প্রথম চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছিল। সে সময় পার্লামেন্টে তার নিজের রক্ষণশীল দলেরই ১১৮ এমপি ওই চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

প্রথমবার পার্লামেন্টে চুক্তিটি অনুমোদন না পাওয়ায় গত কয়েক সপ্তাহ ইইউ নেতাদের সঙ্গে  দেন-দরবার করে কিছুটা পরিবর্তন আনেন মে।  এরপর মঙ্গলবার চুক্তিটি আবার সংসদে এনেছিলেন মে।

এর আগে এমপিদের সতর্ক করে থেরেসা মে বলেছিলেন যে, তার প্রস্তাবে সমর্থন না দিলে সেটি ব্রেক্সিট না হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। কিন্তু এতো কিছুর পরেও প্রয়োজনীয় সমর্থন পেতে ব্যর্থ হলেন তিনি। যেখানে ব্রেক্সিট অর্থ্যাৎ ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আর মাত্র ১৭ দিন বাকি আছে।
 


ব্রিটেন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিটের পর উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের মধ্যে অবাধে পণ্য এবং মানুষের যাতায়াত অব্যাহত রাখা নিয়ে যে আপত্তি অনেকে করছিলেন, সেখানে ইইউ থেকে তিনি কিছু ছাড় পেয়েছেন।

বলা হচ্ছে, এই দুই ভূখণ্ডের মধ্যে অবাধ যাতায়াত হবে সাময়িক। তবে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, এখন এমপিরা আরেকটি ভোট দেবেন যে কোন চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত কি না তার ওপর। সেটিও যদি না হয় তাহলে ব্রেক্সিট বিলম্বিত করা উচিত কি না সেটাও দেখা হবে।

অবশ্য চুক্তি হোক বা না হোক, আগামী ২৯ মার্চ ইইউ’র সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টিসহ অন্যান্য দলের পক্ষ থেকে বিচ্ছেদের সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার জোরালো দাবি উঠেছে। এসব দল মে’র ব্রেক্সিট চুক্তিতে সমর্থন দেয়নি।

এদিকে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলছেন, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের এখন উচিত সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করা। দ্বিতীয়বারের এই ভোটে নিজের রক্ষণশীল দলের ৭৫ জন মের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর প্রথমবার বিপক্ষে ভোট দেন ১১৮ এমপি।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ মার্চ ২০১৯/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়