ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

এক স্কুলে দুই প্রধান শিক্ষক !

বিলাস দাস || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ৯ আগস্ট ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এক স্কুলে দুই প্রধান শিক্ষক !

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী স্কুলে দুইজন প্রধান শিক্ষক নিয়ে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একজন মো. সিদ্দিকুর রহমান। হাইকোর্টের রায় তার অনুকুলে রয়েছে তাই তিনি নিজেকে প্রধান শিক্ষক দাবি করছেন। অপরদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদোন্নতি ও বদলির আদেশে যোগদান করে সৈয়দ আতিকুর রহমান নিজেকে প্রধান শিক্ষক দাবি করছেন।

প্রধান শিক্ষকের চেয়ার কে বসবেন এই নিয়ে শনিবার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে পরিচালনা কমিটি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক অন্যত্র বদলি হলে সহাকারী প্রধান শিক্ষক মো. ছিদ্দিকুর রহমান সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে অগ্রাধিকার বলে ২০০৫ সালের ১৪ জুন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত হিসাবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এদিকে চলতি বছরের ৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে সৈয়দ আতিকুর রহমান ১০ জুলাই স্কুলে যোগদান করে দায়িত্ব পালন করছেন।

অপরদিকে জুনিয়র শিক্ষকের পদোন্নতির ফলে সিনিয়র ১০ শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। এই ১০ জনের মধ্যে জুবিলী স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানও রয়েছেন। ফলে ২৪ জুলাই আদালত ওইসব সিনিয়র শিক্ষকদের স্কুলে তারাই প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন- এ মর্মে নির্দেশনা দেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনিই এখন জুবিলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

শনিবার সিদ্দিকুর রহমান আদালতের নির্দেশনার ফলে সকালেই প্রধান শিক্ষকের চেয়ার দখল করে বসে পড়েন। অন্যদিকে একমাস আগে যোগদান করা প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান কিছু সময় পর প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে সিদ্দিকুরকে বসা দেখে বিচলিত হন এবং দ্রুত কক্ষ ত্যাগ করেন। এ সময় অন্য শিক্ষকরা উভয়ের মধ্য একটি সমন্বয়ের উদ্যোগ নিলেও তা ব্যর্থ হয়।

খবর পেয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) খায়রুল হাসান ওই স্কুলে যান। সমস্ত ঘটনা শুনে তিনিও বিব্রত বোধ করেন। এক পর্যায়ে রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুইজনকে কাগজপত্রসহ যেতে বলা হয়।
 
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করে এক মাস ধরে দায়িত্ব পালন করছি। পূর্বের শিক্ষক আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন এবং কোন আপত্তি তোলেন নি।’

এদিকে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আদালতের রায় অনুযায়ী আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কেন এই আচরণ তা স্পষ্ট নয়। আমার প্রতি এ আচরণ খুবই দুঃখজনক।’

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক অমিতাভ সরকার বলেন, ‘আমি এখনও বিষয়টি ভালভাবে জানি না। অফিস চলাকালে আমার কাছে উভয়ে কাগজপত্র নিয়ে এলে আমি দেখব বিষয়টি।’

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ আগস্ট ২০১৪/বিলাস দাস/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়