ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ডিবির পরিদর্শক হত্যা : আসামি হাসানের স্ত্রীর জবানবন্দি

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩২, ২২ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ডিবির পরিদর্শক হত্যা : আসামি হাসানের স্ত্রীর জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জালাল উদ্দীন নিহতের ঘটনায় করা মামলার আসামি মো. হাসান মাহমুদের (২৬) স্ত্রী তানিয়া বেগম আদালতে সাক্ষী হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো. ওয়াহিদুজ্জামান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. খুরশীদ আলম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তানিয়া বেগম জানান, ঘটনার দিন রাতে হাসানের বন্ধু মানিক বাসায় আড্ডা দিতে আসেন। তারা দুজন বাসার দ্বিতীয় তলায় ছাদের ওপর আড্ডা দিতে থাকেন। আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে পর পর দুটি গুলির শব্দ শুনতে পান তিনি। এরপর দৌড় দিয়ে ছাদে গিয়ে তার স্বামী হাসানের হাতে অস্ত্র দেখতে পান। গুলি করার পরপরই হাসান ও তার বন্ধু মানিক বাড়ির ছাদের দক্ষিণ পাশের সানসেট দিয়ে পালিয়ে যান।

এর আগে এদিন মামলার এজাহার আদালতে পৌঁছালে একই আদালত আগামী ৬ মে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ মার্চ মধ্যরাতে মধ্য পীরেরবাগ এলাকায় আলিমুদ্দিন স্কুল সংলগ্ন ১০৫/এ/১ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন ইন্সপেক্টর জালাল। পরে রাজধানীর বেসরকারি স্কয়ার হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান। বন্দুকযুদ্ধের পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় গত ২১ মার্চ মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ডিবির এসআই শামীম আহমেদ। মামলায় মো. হাসান মাহমুদসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে কনস্টেবল পদে পুলিশে যোগ দেন মো. জালাল উদ্দিন। পরে এএসআই ও ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পান। প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেলও (পিপিএম) পান তিনি। পদোন্নতি পেয়ে রাজধানীর সূত্রাপুর থানা থেকে তিন মাস আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগের পল্লবী জোনাল টিমে যোগ দেন। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের ভোলপাড়ায়। তিনি ৫ ভাই, দুই বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। জালাল উদ্দিনের বড় মেয়ে তৃপ্তি ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণিতে এবং ছোট মেয়ে তূর্যা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মার্চ ২০১৮/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়