ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

হাজিরা ও অভিযোগ থেকে মুক্তি চান রুহুল আমীন

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হাজিরা ও অভিযোগ থেকে মুক্তি চান রুহুল আমীন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজনৈতিক ব্যস্ততা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা এবং অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার।

মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর করা এক আবেদনে তিনি এ কথা উল্লেখ করেন। সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে আজ জাতীয় পার্টির মহাসচিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল।

এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার সই করা চিঠিতে তিনি বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি কার্যক্রম হিসেবে আমাকে কর্মী সংগ্রহ, প্রার্থী বাছাইসহ বিভিন্ন দলীয় কাজে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় থাকতে হচ্ছে। এছাড়া বর্তমান সংসদের অধিবেশন চলছে বিধায় প্রতিদিন আমাকে অধিবেশনে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে।

স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, আমি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, প্রোস্টেট এনলার্জসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। বর্তমানে সিঙ্গাপুর এনইউএইচসহ তিনটি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন। তাছাড়া অতি সম্প্রতি আমাকে অপারেশনের জন্য সিঙ্গাপুরে যেতে হবে।  চিকিৎসকরা আমাকে ঝুঁকিপূর্ণ ও উত্তেজক কর্মকাণ্ড  থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এই অবস্থায় আমার স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আমাকে উপস্থিতি ও  অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য বিনীত জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে বলেন, চিঠি পেয়েছি। আমাদের অনুসন্ধান কর্মকর্তা সময় চেয়ে আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করবেন। আর অনুসন্ধান শেষ হলেই অভিযোগের বিষয়টি বলা সম্ভব।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ সই করা নোটিশে রুহুল আমিনকে ১৮ সেপ্টেম্বর হাজির হতে বলা হয়েছিল।

রুহুল আমীন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি আমলা ও আদালতে উৎকোচ প্রদান এবং সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

দুদকে আসা জাতীয় পার্টির মহাসচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, তিনি ঢাকা শহরের কয়েকটি বাড়ি ও গাড়ির মালিক। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে রাজউকের একাধিক প্লটের মালিক হন। তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে অবৈধভাবে অর্জিত কোটি কোটি জমা আছে। এছাড়া তিনি অবৈধ টাকার জোরে বিভিন্ন বিচারিক আদালতে কোটি কোটি খরচ করে তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন বহু মামলার কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

অভিযোগে আরো বলা হয়, তার দল জাতীয় পার্টি সরকারের সাথে জোটবদ্ধ থাকায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া পার্টির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যসায়ীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে টাকার কুমিরে পরিণত হয়েছেন। তিনি অবৈধভাবে কয়েক কোটি টাকায় কোয়াকাটায় বিশাল অট্টালিকা তৈরি করেছেন বলে দুদকে আসা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান অনুসন্ধান টিমের অপর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়