ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১১, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৫ বছর আছে কেরানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর বাবা-ছেলে হত্যা মামলায় ৫ জনকে ডাবল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

বাবা শরীফ হোসেন ও ছেলে খোকনকে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ওরফে নজু, মিস্টার ওরফে ছোট মিস্টার, মো. আরিফ ও মো. মাসুদ। আসামিদের  মধ্যে প্রথম তিনজন কারাগারে আছেন। রায় ঘোষণার সময় তাদের আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি পলাতক।

মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আর নিহতের আরেক ছেলে শাহজাহানকে জখম করার দায়ে ওই ৫ আসামিকে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাভোগ করতে হবে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই রাতে কেরানীগঞ্জের বরিশুর বাজারের পশ্চিম পাশে মালোপাড়া সংলগ্ন নিজ দোকানে ব্যবসায়ী শরীফের দুই শিশুপুত্র খোকন (৯) ও শাহজা‎হান  (১২) বাবার জন্য রাতের খাবার নিয়ে আসে। বাবার কাছে রাতের পড়া শেষে তারা দোকানের পিছনের রুমে ঘুমিয়ে যায়। রাত আনুমানিক ৩/৪টার সময়ে আসামিরা দোকানে এসে সিগারেট ও কিছু মালামাল বাকি চায়। শরীফ বাকিতে মাল বিক্রি করবে না বলে জানালে আসামিরা তাদের হাতে থাকা দা, চাপাতি দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করে। তার চিৎকারে তার পুত্ররা এগিয়ে এসে পিতাকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে। আসামিরা তাদেরকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এতে ঘটনাস্থলেই শরীফ ও তার শিশুপুত্র খোকন মারা যায়। ওই ঘটনায় শরীফের ছেলে আব্দুর রহিম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল কবির ১৯৯৪ সালে ৫ আসামির বিরুদ্ধে  চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে ২০০৪ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দাযরা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা (বর্তমানে বিচারপতি) এ মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর  স্বাক্ষ্য গ্রহণ  করে রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের ডাবল মৃত্যুদণ্ডের  আদেশ দেন আদালত।

আসামিরা এ মামলায় উচ্চ আদালতে আপিল করলে উচ্চ আদালত মামলাটি বিচারিক আদালতকে আসামিদের পক্ষে পৃথক পৃথক স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করে পূর্ণ বিচার করার নির্দেশ দেন। সে মতে আসামিদের পক্ষে  পৃথক পৃথক স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। আদালত উভয়পক্ষের যুক্তি তর্ক শেষে মামলাটি আবার রায় প্রদান করলেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়