স্কুলছাত্র হত্যায় কোচিং শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কাফরুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সজল চন্দ্র মজুমদার (১৪) হত্যা মামলায় কোচিং সেন্টারের শিক্ষক সবুজ চন্দ্র সূত্রধরের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলাটির বিচারকালে ট্রাইব্যুনাল ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলা তদন্তকালে আসামি হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, নিহত সজল কাফরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট জন্মাষ্টমীর দিন রাতে উত্তর কাফরুলের বৌবাজারের বাসা থেকে বের হয়। তার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ৮টার দিকে একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে সজলের কোচিং সেন্টারের শিক্ষক সবুজ সূত্রধর ফোন করে জানান, সজল তার কাছে আছে। ফেরত পেতে ৫০ হাজার টাকা লাগবে। বিকাশের মাধ্যমে তাকে টাকা দেওয়ার জন্য বলা হয়। ওই রাতেই কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সজলের মা সুচিত্রা রানী। পরের দিন সজলের বস্তাবন্দি লাশ অজ্ঞাত হিসেবে ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ মর্গে ছয় দিন অজ্ঞাত হিসেবে পড়ে থাকার পর সজলের স্বজনরা তার লাশ শনাক্ত করেন।
সজলের পরিবারের দাবি, সবুজ চন্দ্র সূত্রধরের ফ্যান্টাসি এডুকেশন কেয়ার কোচিং সেন্টারে পড়ত সজল। সেখানে প্রীতি ওরফে মর্জিনা নামের একজন মহিলাও পড়ত। ওই মর্জিনার সঙ্গে আসামি সবুজের অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়। সজল একদিন সবুজ ও মর্জিনার কুকীর্তি দেখে ফেলায় পরিকল্পিতভাবে তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। কিন্তু আসামি সবুজ জবানবন্দিতে বলেছেন, তার মায়ের কিডনি অপারেশনের জন্য টাকার দরকার ছিল। এজন্যই তিনি সজলকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন। পরে ধরা পড়ার ভয়ে সজলকে হত্যার জন্য প্রথমে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন।
উল্লেখ্য, নিহত সজলের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার বড় মানিকদা। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সজল বড়। বাবা শ্যামল দত্ত সেলুন ব্যবসায়ী।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ নভেম্বর ২০১৮/মামুন খান/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন