ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

রাজধানীতে দুজন নিহতের মামলায় যুবলীগ নেতার জামিন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৩, ১১ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজধানীতে দুজন নিহতের মামলায় যুবলীগ নেতার জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পিকআপ ভ্যানের চাপায় দুজন নিহতের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আদাবর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. আরিফুর রহমান ওরফে তুহিনকে (৪৫) জামিন দিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জামিনের আদেশ দেন।

আদাবর থানাধীন ১৩ নং রোডের ৮৫৩ রোমান টাওয়ার প্লাসের বাসিন্দা আরিফুর রহমান ওরফে তুহিনকে রোববার দুপুরে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মোহাম্মাদপুর থানার এসআই মুকুল রঞ্জন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ১০ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে একটি পিকআপ ভ্যানে করে ৩০/৩৫ জন যুবক সাদেক খানের সমর্থনে মিছিল করে মোহাম্মাদপুর থানাধীন মোহাম্মাদিয়া হোমসের পশ্চিম পাশের গেট দিয়ে প্রবেশ করে পূর্ব পাশের গেটের সামনে এসে দাঁড়ায়। ওই সময় পূর্ব পাশের গেট দিয়ে ১৫/২০টি মোটরসাইকেলে ২৫/৩০ জন আরোহী পিকআপ ভ্যান লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। মিছিলকারীরা পিকআপ ভ্যান থেকে লাফিয়ে নেমে যায়। ভ্যানের চালক আত্মরক্ষার্থে গাড়ি পিছনে চালানোর সময় আরিফ হোসেন (১৬) ও মো. সুজন মিয়া (১৭) পিকআপ ভ্যানের চাপায় পিষ্ট হয়ে মারা যায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. আরিফুর রহমান ওরফে তুহিন ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তার অন্যান্য সহযোগীসহ এই ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছেন। এই আসামি ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত মর্মে জোর সন্দেহ থাকায় এবং একাধিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়ায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ওই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘাত হয়।

নিহত আরিফের বাবার নাম ফারুক এবং সুজনের বাবার নাম নুরুল আমিন। তারা দুজনই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। আরিফের ভাই আলাউদ্দিন বলেন, তার ভাই যুবলীগের একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। তাদের গাড়িতে হামলা হলে সে নেমে পালানোর সময় ওই গাড়ির চাকাতেই পিষ্ট হয়। একই সময়ে নবোদয় হাউজিংয়ের পাশাপাশি আদাবরের ১০ ও ১৬ নম্বর সড়ক, শম্পা মার্কেট এলাকা এবং উত্তর আদাবরের সুনিবিড় হাউজিংয়েও সংঘর্ষ হয়। তাতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

ওই ঘটনার পর আরিফ হোসেনের পিতা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে মোহাম্মাদপুর থানায় দণ্ডবিধির ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩০৪/১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ মো. আরিফুর রহমান ওরফে তুহিনকে গ্রেপ্তার করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ নভেম্বর ২০১৮/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়