ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

২২ হরিণ শিকার : বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ১২ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২২ হরিণ শিকার : বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুন্দরবনের ২২ হরিণ শিকারের ঘটনায়  বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সুন্দরবন সংরক্ষণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। 

সোমবার এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, শ্যামনগর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট ১৬ জনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে সুন্দরবন থেকে ২২টি হরিণ শিকারের ঘটনা গত ৯ জুলাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে ওই এলাকার বাসিন্দা ও সাপ্তাহিক নয়া বার্তার সম্পাদক আবু বকর জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শামছুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।   

জানা যায়, গত ৮ জুলাই সুন্দরবনে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে ২০টি জবাইকৃত হরিণ ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এসময় শ্যামনগর থানার এসআই লিটন, এসআই হাবিব, এ এসআই মামুন ও ফজলুল করিম, কনস্টেবল আলমগীর, কনস্টেবল সাইফুল্লাহ , কনস্টেবল উত্তম কুমার, ইন্টারপোলের তালিকাভুক্ত বাঘ শিকারী আ. সাত্তার মোড়ল, তার সহযোগী আনোয়ারুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ, আলী হোসেন, মনজু, সামাদ, বিকাশ, আকজান, ইউসুফ, এবং বাচ্চুকে আটক করে।

পরে বনবিভাগকে মামলা করতে না দিয়ে শ্যামনগর থানার এসআই লিটন নিজেই বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। সেখানে কেবল তিনটি হরিণ ও তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার দেখানো হয়। আর আসামি করা হয় কেবল ৬ জনকে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ নভেম্বর ২০১৮/মেহেদী/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়