ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মোস্তফা হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ১২ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মোস্তফা হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক : জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঢাকার কেরাণীগঞ্জে মোস্তফা হত্যা মামলায় দুই পরিবারের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহা. বজলুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন-একই এলাকার দুই সহোদর মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে শফিউদ্দিন ও শাহাব উদ্দিন, তাদের ভাই সালাউদ্দিনের ছেলে সুমন, তমিজউদ্দিনের ছেলে জসীম উদ্দিন ও অসিম উদ্দিন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রায়ে দণ্ডিতদের দণ্ডবিধির ৩২৪ ধারায় এক বছর করে কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলার অপর আসামি দণ্ডিত প্রথম দুই জনের ভাই সালাউদ্দিন মামলার বিচারকালীন সময়ে মৃত্যুবরণ করেন।

উল্লেখ্য, মামলাটি চার্জশিট হয়ে বিচারকালীন সময়ে ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পরে ঢাকা জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য মন্ত্রণালয়ের আদেশসহ আদালতে দাখিল করে। কিন্তু বাদীপক্ষের নারাজী আবেদনের কারণে আদালত সরকারের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নামঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে আসামিপক্ষ ওই বিষয়ে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে গেলেও বিচারিক আদালতের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। ফলে এরপর আবার এ মামলার বিচার শুরু হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মঞ্জুরুল আলম জানান, মামলাটিতে ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়ে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রাজনৈতিক মামলা হিসেবে প্রত্যাহারের ওই সিদ্ধান্ত এসেছিল।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার জয়নগরস্থ নিজ বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হন মোস্তফা এবং তার দুই শ্যালক হায়দার আলী ও রবি হোসেন। এ সময় আসামিরা তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা, লোহার রড, চাপাতি ও ইট দিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত মোস্তফাকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ওইদিনই রাত পৌনে ৯টায় মারা যান মোস্তফা। ওই ঘটনায় তার দুই শ্যালক হায়দার আলী ও রবি হোসেন গুরুতর আহত হন। এরপর ২০০৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী সাজেদা খাতুন। ঘটনাটি তদন্ত করে ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আবুল হাশেম ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অপর আসামি এনায়েত হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ নভেম্বর ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়