ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘অঙ্কুরেই বিনাশে বড় দুর্নীতির পথ সঙ্কুচিত হয়’

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘অঙ্কুরেই বিনাশে বড় দুর্নীতির পথ সঙ্কুচিত হয়’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ছোট ছোট দুর্নীতি অঙ্কুরেই বিনাশ করা গেলে, বড় বড় দুর্নীতির পথ সঙ্কুচিত হয়ে আসে। তা না হলে এই ছোট ছোট দুর্নীতি একসময় দুর্নীতির মহিরুহে পরিণত হয়, যা সমাজকে বিপন্ন করে ফেলে এবং তা উপড়ে ফেলাও দুরূহ।

বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ইউএস ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্টেট অব কোর্টস (স্ট্রেনদেনিং অফ ল’ প্রোগ্রাম) এর টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রবার্ট লকারির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থপাচার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে শুধু সন্ত্রাসে অর্থায়ন হয় না, বরং দেশের ক্যাপিটাল ফ্লাইটও (দেশ থেকে অর্থপাচার হওয়া) হচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন অনুসারে, মানিলন্ডারিং মামলা পরিচালনার একক দায়িত্ব দুদকের নেই। বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), সিআইডি, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ একাধিক সংস্থা মানিলন্ডারিং মামলা পরিচালনা করছে। দুদক কেবল ঘুষ ও দুর্নীতিসম্পৃক্ত মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ তদন্তের ক্ষমতাপ্রাপ্ত।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, তদন্ত এবং প্রসিকিউশন বিচারের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তদন্তকারীরা যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করবেন, উহার সাক্ষ্যমাণ বিবেচনা করে বিশ্লেণ করবেন প্রসিকিউটরা। অর্থাৎ তদন্ত কর্মকর্তা, প্রসিকিউটর এবং বিচারক অপরাধ দমনে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। আর অপরাধ দমনে কার্যকর তদন্ত ও প্রসিকিউশনের প্রয়োজন।

দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের তদন্ত ও প্রসিকিউশনের সক্ষমতা হয়ত এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। তবে দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটরদের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। শুধু দুদক নয়, সরকারের কোনো স্থায়ী প্রসিকিউটর নেই। তারপরও দুদক প্রসিকিউটরদের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য কমিশন অনুমোদিত নীতিমালার আলোকে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা, প্রসিকিউটর এবং সংশ্লিষ্ট বিচারকদের প্রশিক্ষণ জরুরি। কমিশনের কোনো আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন নেই, আমাদের প্রয়োজন জ্ঞানের, যার মাধ্যমে আমরা পদ্ধতিগত উন্নয়ন ঘটাতে পারি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দুদকের মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মো. মঈদুল ইসলামসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়