রেলের সার্ভারে গলদ, দ্বিতীয় দফা দুদকের হানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের টিকেট প্রাপ্তিতে হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার কমলাপুর রেলস্টেশনে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এর আগে গত ২২ মে টিকিট বিক্রিতে নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রথম দফায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালায় দুদক।

দুদক জানায়, দুদক টিম টিকিট বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের (সিএনএস) কার্যক্রম খতিয়ে দেখে। এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে টিকিট বিক্রয় ও সার্ভার রুম পরিদর্শন করে জানতে পারে যে, সিএনএসের কার্যক্রমে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণের ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া, টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে সিএনএসের ভূমিকা ও নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির কোনো নীতিমালা অনুসরণ করা হয় না।

এদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ প্রাথমিক অভিযান চালিয়েছে দুদক। দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে পরিচালিত এ অভিযানে দুদক টিম দেখে, উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আবাসিক কক্ষ ডরমিটরি হিসেবে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের মাত্র ১০ শতাংশ হারে অবৈধভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যার ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালের ইনভেনটরি তালিকার সাথে সংরক্ষিত ওষুধের অমিল পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিএসএফ প্রজেক্টের আওতায় দুস্থ প্রসূতিদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫ হাজার টাকা কোনো রোগী না থাকলেও ভুয়া তথ্য দেখিয়ে আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক টিম। হাসপাতালের অভিযোগসমূহের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহপূর্বক কমিশনে অনুসন্ধানের সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালায় দুদক। অভিযানকালে উক্ত দপ্তরের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক আব্দুর রহমান পেনশন ফাইল, বেতন স্কেল পাস ইত্যাদিসহ নানা কাজে অনৈতিকভাবে নগদ গ্রহণ করেন বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া যায়। অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া, দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬ এ শিক্ষা খাত, স্বাস্থ্য, ইজারা প্রদান, বিভিন্ন ভাতা প্রদান, বিআরটিএ, ভূমি অফিস, জেলখানা ইত্যাদি সংস্থারে নানা অনিয়ম-হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য বরিশাল, পটুয়াখালী, রংপুর, দিনাজপুর ও জামালপুরের জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এবং বরগুনা সদর, দিনাজপুরের খানসামা, যশোরের মনিরামপুর এবং লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ মে ২০১৯/এম এ রহমান/রফিক