ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

দশম সংসদে কোরাম সংকটে ১২৫ কোটি টাকা অপচয়

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ১৭ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দশম সংসদে কোরাম সংকটে ১২৫ কোটি টাকা অপচয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : দশম জাতীয় সংসদে এখন পর্যন্ত কোরাম সংকটের কারণে ১২৫ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৫ টাকা অপচয় হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে টিআইবির মেঘমালা কনফারেন্স রুমে ‘পার্লামেন্টওয়াচ দশম জাতীয় সংসদ চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ অধিবেশন’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, কোরামের সংকটের কারণে দশম জাতীয় সংসদের এখন পর্যন্ত মোট ১৫২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট অপচয় হয়েছে। যা প্রকৃত সময়ের ১২ শতাংশ। ফলে সরকারের কোরাম সংকটের কারণে ১২৫ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৫ টাকা অপচয় হয়েছে।

গবেষণায় আরো বলা হয়েছে,  চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ অধিবেশন তথা পাঁচটি অধিবেশনে প্রতিটি কার্যদিবসে কোরাম সংকট লক্ষণীয় ছিল। ৭৬টি কার্যদিবসের  ১৩ শতাংশ কোরাম সংকট ছিল। প্রতি কার্যদিবসে গড় কোরাম সংকট ছিল ৩০ মিনিট করে অপচয় হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসদের বাজেটের ভিত্তিতে সংসদ পরিচালনার ব্যয়ের প্রাক্কলিত হিসাব অনুযায়ী সংসদ পরিচালনার করতে প্রতি মিনিটে গড়ে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৬ টাকা খরচ হয়। এ হিসাবে প্রতি কার্যদিবসে গড় কোরাম সংকটের অর্থমূল্য ৪৯ লাখ ১০ হাজার ৫৮০ টাকা এবং চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ পর্যন্ত ৫টি অধিবেশনে মোট কোরাম সংকট ছিল ৩৮ ঘণ্টা ৩ মিনিট। যে কারণে সরকারের ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা অপচয় হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় সংসদে বরাবরের ন্যায় এবারও কোরাম সংকট অব্যাহত ছিল। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।’

‘পার্লামেন্টওয়াচ দশম জাতীয় সংসদ চতুর্দশ থেকে অষ্টাদশ অধিবেশন (জানুয়ারি-ডিসেম্বর ২০১৭)’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটিতে সংসদকে অধিকতর কার্যকর করার জন্য বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে-সংসদে অধিকতর শৃঙ্খলা রক্ষাসহ অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার বন্ধে বিধি অনুযায়ী স্পিকারকে আরো জোরাল ভূমিকা নিতে হবে। আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহ সদস্যদের আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সংসদে উত্থাপন করতে হবে। বিধি অনুযায়ী কমিটির নিয়মিত সভা অনুষ্ঠান করতে হবে। সংরক্ষিত আসনসহ সব নির্বাচিত সদস্যদের হলফনামা নিয়মিত প্রকাশ ও হালনাগাদ করতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকাশযোগ্য নয় এমন বিষয় ব্যতিত অন্যান্য আন্তর্জাতিক চুক্তি সংসদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ইত্যাদি।

অনুষ্ঠানে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামালসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ মে ২০১৮/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়