‘যুক্তফ্রন্টের দাবি বিএনপি-জামায়াতের দাবিরই ফটোকপি’
সচিবালয় প্রতিবেদক: ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্ট যেসব দাবি তুলেছে সেগুলো বিএনপি-জামায়াতের দাবিরই ফটোকপি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
বুধবার সচিবালয়ের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিসে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টের ৫ দফা দাবি ও তাদের রাজনৈতিক অবস্থান হুবহু বিএনপি-জামায়াত তথা ২০ দলের দাবি ও অবস্থানের মত। সব কিছু দেখে এটা জলের মত পরিস্কার যে, বিএনপি-জামায়াতের মতই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্ট মাঠে নেমেছে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করতে।’
ইনু বলেন, ‘জঙ্গি সন্ত্রাস ও তাদের মূল পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে হালাল করার জন্যই। আগুন সন্ত্রাসের বিচার বন্ধ করা, দুর্নীতির বিচার করা, সাংবিধানিক সংকট তৈরি করে অস্বাভাবিক সরকার আনাই তাদের আসল উদ্দেশ্য। নির্বাচন করা তাদের আসল উদ্দেশ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টের সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, শেখ হাসিনার পদত্যাগের কথা বলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরির প্রস্তাব বা দাবি আমরা নাকচ করছি।
‘খালেদা-তারেক-বিএনপি-জামাত বাঁচাও’ ও ‘অসাংবিধানিক সরকার আনো’ এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারা তাদের দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশকে জঙ্গিবাদের বিপদ-আপদ-ঝুঁকি থেকে মুক্ত করার জন্য কাজ করবেন। গত ১০ বছরে যারা বাংলাদেশ বিরোধী ও পাকিস্তানপন্থার রাজনীতির মাঠে প্রভাব বিস্তার করার অপচেষ্টা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করবেন। দেশকে শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
জাতিসংঘের কাছে বিএনপি’র অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগের কথা শুনে আমি ব্যথিত হয়েছি। কারণ, এই অভিযোগ অসত্য। তারা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কিন্তু উন্মুক্ত আদালতে দীর্ঘ দশ বছর বিচার চলেছে। খালেদা জিয়া সেখানে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। রায়ে তার সাজা হয়েছে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে? এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের উদ্বেগের কিছু নেই। এ আইনের মাধ্যমে বাক স্বাধীনতা হরণ করা হবে না। বাংলাদেশের সংবিধান প্রদত্ত বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রেখেই সব আইন হবে। কোন সাংঘর্ষিক আইন পার্লামেন্ট পাস করবে না, পাস করলেও তা আদালতে নাকচ হয়ে যাবে।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮/আসাদ/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন