ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শনিবার পদ্মা সেতুতে রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩০, ১১ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শনিবার পদ্মা সেতুতে রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

সচিবালয় প্রতিবেদক : বাংলাদেশে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প। এরই মধ্যে বিশাল এই প্রকল্পে রেলপথও সংযুক্ত হয়েছে। আগামী শনিবার এই রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শরিফুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী ১৩ অক্টোবর (শনিবার) ‌‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ কাজ শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে মাওয়া থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেললাইন জাজিরা, শিবচর, ভাঙ্গা জংশন হয়ে বিদ্যমান ভাঙ্গা স্টেশনের সাথে যুক্ত হবে। এতে  ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোর জেলা সংযুক্ত হবে।

পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। ঢাকা থেকে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, যশোর, খুলনা ও দর্শনার সাথে সংক্ষিপ্ত রুটে উন্নততর রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।

এ রুটে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্রডগেজ মালবাহী ও কন্টেইনার ট্রেন চলবে। যাত্রী সেবার মান উন্নতকরণ এবং যাত্রী সুবিধাদি বৃদ্ধি পাবে। সম্পদের সদ্ব্যবহার ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশনাল দক্ষতা ও আর্থিক পারফরমেন্স উন্নত হবে।

বাংলাদেশের মধ্যে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আরেকটি উপ-রুট হবে। ভবিষ্যতে এ রুটে দ্বিতীয় লাইন নির্মাণ এবং বরিশাল ও পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরকে এই রুটের সাথে সংযুক্তকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

চীনা জিটুজি পদ্ধতিতে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লি. নামের চীন সরকারের মনোনীত ঠিকাদার এই প্রকল্পের কাজ করছে। চীনা এক্সিম ব্যাংকের সাথে ২ হাজার ৬৬৭ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই প্রকল্পের  মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রবর্তন করতে যাচ্ছে –২৩ কি,মি. এলিভেটেড ভায়াডাক্টে ব্যালাস্টবিহীন রেললাইন নির্মাণ। এলিভেটেড ভায়াডাক্টের ওপর দুটি প্লাটফরম, একটি মেইনলাইন ও দুটি লুপ লাইনসহ রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ ও তাতে লিফট স্থাপন। প্রায় ১১ মিটার উচু রেললাইনের নিচে দিয়ে সড়কের জন্য আন্ডার পাস নির্মাণের মাধ্যমে উভয় পথে নিরবিচ্ছিন্ন ও নিরাপদ ট্রেন ও গাড়ী চলাচল নিশ্চিত করা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ অক্টোবর ২০১৮/হাসান/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়