ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘সরকারি চাকরি আইন সংবিধান পরিপন্থী ও বৈষম্যমূলক’

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩১, ২২ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘সরকারি চাকরি আইন সংবিধান পরিপন্থী ও বৈষম্যমূলক’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের পূর্বে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণের বিধান রেখে খসড়া ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

দক্ষ, জনবান্ধব, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন নিশ্চিতে খসড়া আইনটির এই বৈষম্যমূলক বিধান সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় আইনটি পাশ না করার জন্য জাতীয় সংসদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রস্তাবিত ধারাটি বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী। কারণ, একই অপরাধে জড়িত হলে সাধারণ নাগরিক ও জনপ্রতিনিধিদের জন্য যেখানে পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই, সেখানে কোনো বিশেষ মহলের জন্য পূর্বানুমতির বিধান যুক্ত করা আইনের চোখে সকল নাগরিকের সমান অধিকারের যে সাংবিধানিক বিধান তার সাথে সাংঘর্ষিক।’

তিনি বলেন, ‘আইনটি এভাবে পাশ হলে বর্তমান সরকারের আমলে প্রণীত ও বাস্তবায়নাধীন জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের সাথেও এটি সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী হবে। তাছাড়া, উল্লিখিত ধারাটি ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৫৪ ধারার সঙ্গেও সরাসরি সাংঘর্ষিক। জাতীয় সংসদে উত্থাপিত খসড়া ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি গ্রহণের যে বিধান রাখা হয়েছে তা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের সততা, স্বচ্ছতা, উন্নততর পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন নিশ্চিতের পরিপন্থী ও উদ্বেগজনক হবে।’

উল্লিখিত বিধান রেখে আইনটি পাশ হলে বাস্তবে সরকারি খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিরোধ দূরে থাকুক, আইনের ছত্রছায়ায় এ ধরনের অপরাধ সুরক্ষা পাবে ও এর ব্যাপকতা বাড়ার ঝুঁকি আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

তাই বিধানটি পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি, বিশেষ করে সংসদীয় কমিটির প্রতি আহ্বান জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ অক্টোবর ২০১৮/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়