ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

অন্যায় না করার শপথ পাঠ করালেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অন্যায় না করার শপথ পাঠ করালেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : নিজে অন্যায় করবেন না, অন্যকেও অন্যায় করতে দেবেন না-এমন অঙ্গীকার ব্যক্ত করে নিজে শপথ নিয়েছেন, সঙ্গে তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও দপ্তর প্রধানদের শপথ করিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ।

বুধবার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শপথ অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। শপথগ্রহণ কালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে উপস্থিত সকলে ‘অন্যায় করব না অন্যায় হতেও দেব না’ শপথ বাক্য পাঠ করেন।

এ সময় কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও কোনো অন্যায় করব না, ধর্ম মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট কাউকে অন্যায় করতে দিব না। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার সময় এ ওয়াদা করেছি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মত পবিত্র মন্ত্রণালয়কে অপবিত্র করার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে চাই।’

হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রকার দুর্নীতি অনিয়ম সহ্য করা হবে না মন্তব্য করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হাজিরা আল্লাহর মেহমান। আল্লাহর মেহমানদের কোনো প্রকার কষ্ট যাতে না হয় সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা ছিল। তাই দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে ধর্ম মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করতে হবে। ইসলামে সংকীর্ণতার কোনো স্থান নেই। বঙ্গবন্ধু যে উদ্দেশ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশের নাম প্রথম কাতারে চলে আসবে। প্রকৃত দ্বীনী শিক্ষা ও দাওয়াতের মাধ্যমে সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মান্নান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নর মিজবাহুর রহমান চৌধুরী, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নুরুল ইসলাম, পরিচালক মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার, জালাল আহমদ এ সময় বক্তব্য রাখেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জানুয়ারি ২০১৯/নঈমুদ্দীন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়