ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ওয়াসার পানির এক শতাংশ খাওয়া হয় : এলজিআরডি মন্ত্রী

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৪, ২৫ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওয়াসার পানির এক শতাংশ খাওয়া হয় : এলজিআরডি মন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ওয়াসার সরবরাহ করা পানির এক শতাংশ খাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

দেশে অগ্নিনির্বাপনে করণীয় নির্ধারণে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসা নিয়ে ইদানিং বেশি কথাবার্তা হচ্ছে। আমি এখানে একটা কথা বলি, পানির ৯৯ পার্সেন্ট ব্যবহার হয় ড্রিংকেবল ওয়াটার না, নন-ড্রিংকেবল ওয়াটার হিসেবে। ৯৯ পার্সেন্ট পানি ব্যবহার হয় কীসে- ধোয়ামোছা, গোসল করা ইত্যাদি কাজে। আর ওয়ান পার্সেন্ট পানি ব্যবহার করা হয় খাওয়ার জন্য।

মন্ত্রী বলেন, ভবনে যারা বসবাস করবে অগ্নিদুর্ঘটনার বিষয়ে তাদের সচেতন হতে হবে। সিটি করপোরেশন ও সরকারের সেখানে সেভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই। একটা সুযোগ আছে, জনগণকে সচেতন করার, সেই কাজটি আমরা করব।

তিনি বলেন, ঢাকায় বহুতল ভবন একসময় খুব কম ছিল, তখন আমরা দরিদ্র ছিলাম। এখন আমরা দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসছি, এখন বহুতল ভবন হচ্ছে। বহুতল ভবন করলে আমরা এর নিরাপত্তা দিতে পারব না, এটা মনে হয় যৌক্তিক হতে পারে না। আইন প্রয়োগের ব্যাপারে শৈথিল্য দেখানোর সুযোগ নেই। একটা সময় চলে গেছে, সামনের দিনগুলো কিন্তু আর ওভাবে দেখা যাবে না।’

তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রেট ব্রিটেনে ২৪ তলা বিল্ডিংয়ে আগুন লেগে ৭২ জন মারা গেছে। সেটা তো আধুনিক দেশ। বাংলাদেশের মতো দেশে ২৩ তলা ভবনে আগুন লেগেছে, এজন্য কোনো সুযোগ নেই এটাকে মানার। ব্রিটেনে ৭২ জন মারা গেছে, আমাদের এখানে ২৬ জন মারা গেছে। একজনও কেন মারা যাবে? দুর্ঘটনা হতে পারে। সেটার কারণ চিহ্নিত করা দরকার।

মন্ত্রী বলেন, কেস স্টাডি হওয়া দরকার। ঘটনা দুর্ঘটনার পর কেস স্টাডি হতে হবে, সেখানে একটা চেকলিস্ট বানাতে হবে। তাহলে পরবর্তী সময়ে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপের ক্ষেত্রে এটা কাজে লাগবে।’

বৈঠকে ওয়াসার পানি সংকট নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এই শহরে (ঢাকা) বসবাস করি, চট্টগ্রামে বসবাস করি, গ্রামে বসবাস করি। যেহেতু রাজনীতি করি, বাংলাদেশের বেশিরভাগ জায়গায় যাই।

তিনি বলেন, আমি ভেরি অনেস্টলি বলি, নট দ্য সেন্স অব এনি পারসিয়াল অর পলিটিক্যাল- আমরা ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় আসি, আমি বহুদিন গোসল না করে অফিস করেছি। গুলশানের মতো জায়গায় আমি বসবাস করি। যেটাকে নম্বর ওয়ান পস এরিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমি চট্টগ্রামে খুলশীতে থাকি, সেখানেও দেখা গেছে যে, আমি গোসল করতে পারি নাই। গাড়িতে করে পানি আনিয়ে ব্যবহার করেছি। চট্টগ্রামের সিডিএ এলাকাতে ৩/৪ বছর পর্যন্ত ওয়াসার কোনো পানি যায়নি। হালিশহর এলাকাতে পানি পাওয়া যাবে না- এটা সবার মাইন্ডসেট হয়ে গেছে। যদি আসে এটা একটা আশ্চর্য ধরনের ঘটনা ঘটবে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে গত ৭-৮ বছরের মধ্যে পানি আমার বাসায় আসেনি, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর অ্যাপারেন্টলি পানি দেখে আমার কাছে কখনই মনে হয় নাই যে, এই পানিটার মধ্যে ময়লা আছে। আগের তুলনায় পানির মান উন্নত হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে নির্মাণশ্রমিকেরা দেখি পাইপলাইনের পানি জগে নেয় এবং খায়। এক বছর পর্যন্ত তারা অসুস্থ হয় নাই। ঘটনাটা হলো কে খাবে, কে খাবে না, এটা ডিপেন্ড করবে আপনি কতটুকু রিস্ক নেবেন তার উপর।

তাজুল ইসলাম বলেন, কোথায় পানি দূষিত হয়- ওয়াসার পাইপলাইনের সোর্স থেকে আমরা পানি এনেছি। আমরা দেখেছি, যেখানে উৎপাদন হয় সেখানে পানি ঠিক আছে। প্রত্যেক বাড়িতে তো রিজার্ভার আছে, রিজার্ভার আপনি কতটুকু মেইনটেন্ করতে পারেন? আর ইউ শিওর ইউ কিপ ইট হাইজেনিক। যদি না রাখতে পারেন সেখানে দূষণ হতে পারে।’

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ এপ্রিল ২০১৯/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়