ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

‘মজুরি বিষয়ে বিজিএমইএর ব্যাখ্যা টিআইবির গবেষণার যথার্থতা’

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ২৫ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মজুরি বিষয়ে বিজিএমইএর ব্যাখ্যা টিআইবির গবেষণার যথার্থতা’

নিজস্ব প্রতিবেদক : পোশাক শ্রমিকদের মজুরির বিষয়ে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ব্যাখ্যা গবেষণা প্রতিবেদনের যথার্থতাই প্রমাণ করে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।

বিজিএমইএর ব্যাখ্যায় দাবি করা হয়, ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা হলে ৫ বছর শেষে সামগ্রিক ইনক্রিমেন্ট এর হার দাঁড়ায় ২৭.৬৩ শতাংশ, সেখানে মজুরি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত মজুরি কাঠামোতে মূল মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে ২৮.৭ শতাংশ থেকে শুরু করে ৩৬.৭ শতাংশ পর্যন্ত।

এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ‘বিজিএমইএর এই বক্তব্য টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনের যথার্থতাই প্রমাণ করে।  যেসব শ্রমিক ২০১৩ হতে ২০১৮ পর্যন্ত কর্মরত রয়েছেন তাদের মূল মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আইনসিদ্ধভাবে ৫ শতাংশ হারে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট আমলে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা (শর্ত ৪, বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন, এস, আর, ও নম্বর ৩৪৮ - আইন/২৫ নভেম্বর ২০১৮) না মানার ফলে, মূল মজুরির ওপর বাৎসরিক ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধির সাথে ঘোষিত বেতন বৃদ্ধি যুক্ত হলে নতুন মূল মজুরি যে পরিমাণ হওয়ার কথা তার তুলনায় শ্রমিকরা বিভিন্ন গ্রেডে ২৩ থেকে ৩৬ শতাংশ এবং গড়ে ২৬ শতাংশ কম পাচ্ছেন।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘আমরা আমাদের তথ্য-উপাত্তের ওপর শতভাগ আস্থা রাখি।  নমুনাও যথেষ্ট।  প্রতিবারের মতো এবারও গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে বিজিএমইএর মন্তব্য ও পরামর্শের জন্য খসড়া প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছিল ১৮ এপ্রিল ২০১৯।  কিন্তু নির্বাচন ও কার্যালয় স্থানান্তর নিয়ে ব্যস্ততার কারণে তারা সময় দিতে পারেননি।  এ ছাড়া, লিখিত জবাব পাঠানোর কথা বলা হলেও এখনো পর্যন্ত তা আমাদের হাতে আসেনি।  টিআইবি তৈরি পোশাক শিল্পখাতে সুশাসনের অগ্রগতির লক্ষ্যে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।’

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনা পরবর্তী ছয় বছরে তৈরি পোশাক শিল্পখাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। তবে শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনগত দুর্বলতা ও প্রায়োগিক ঘাটতির কারণে প্রত্যাশিত অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে।  এই অবস্থা থেকে উত্তরণে টিআইবি দায়িত্বশীল সহায়ক শক্তির ভূমিকা পালন করে যাবে।’

গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন : অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর গণমাধ্যমে বিজিএমইএর বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রকাশিত হয়।

টিআইবির গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রকৃত হিসাবে ২০১৩  সালের তুলনায় ২০১৮ যে মূল মজুরি, তা বর্তমান বাজার মূল্যের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।  এর পাশাপাশি শ্রমিকের উৎসব ভাতা, ওভার টাইম ও অবসরকালীন পাওনার পরিমাণও কমে গেছে। মজুরি নির্ধারণে বাৎসরিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট এর বিধান প্রয়োগ করা হয় না।  এ ছাড়া, প্রায় ১৬৮টি কারখানায় প্রায় ১০ হাজার শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা, ৪০ বছর ঊর্ধ্ব শ্রমিক ও নানা অজুহাতে চাকরিচ্যুত ভয় দেখিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ এপ্রিল ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়