ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঢাকায় ভাড়াটিয়া ১৮ লাখ

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২১, ১৫ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঢাকায় ভাড়াটিয়া ১৮ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকদের মধ্যে বাড়িওয়ালা দুই লাখ ৪১ হাজার ৫০৭ জন। আর ভাড়াটিয়া ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৪ জন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এ তথ্য জানিয়েছে। শনিবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএমপি ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৭ জনের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিআইএমএস) সংরক্ষণ করেছে। এর মধ্যে বাড়িওয়ালা দুই লাখ ৪১ হাজার ৫০৭ জন, ভাড়াটিয়া ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৪ জন, মেস সদস্য এক লাখ ২১ হাজার ৪০ জন, পরিবারের সদস্য ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২১ জন, ড্রাইভার ও গৃহকর্মী ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৪ জন।

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি আরো জোরদার করতে ১৫ থেকে ২১ জুন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ পালন করছে ডিএমপি। এরমধ্যে ঢাকায় ৫০টি থানার ৩০২টি বিটে ভাগ করে নাগরিকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করবে। এরপর ২১ জুন থেকে ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে আটটি টিম আট বিভাগে ভাগ হয়ে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ক্রস চেক করবে। কোথাও কোনো ত্রুটি পেলে সংশ্লিষ্ট বিট পুলিশকে জবাবদিহিতার আওতায় নেয়া হবে।

গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে সিআইএমএস সফটওয়্যারে সংরক্ষণ শুরু করে ডিএমপি।

এর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এর পাইলট প্রকল্প শুরু করা হয় বলে আজকের অনুষ্ঠানে জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সিআইএমএস সফটওয়্যারের কিছু সফলতার চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘গুলশানে হামলার পর আমরা নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করি। যারা পরিচয় গোপন করে ঢাকায় বাড়ি ভাড়া নিতে চান তারা এখন ভাড়া নিতে পারছেন না। এ ছাড়া এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভিকটিম, অপরাধী শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। কারণ সংরক্ষিত তথ্যে একজন ব্যক্তির জন্য আলাদা ইনডেক্স রয়েছে। ফলে একজন ব্যক্তি এলাকা পরিবর্তন করলেও আমরা তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারি।’

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের আদলে ডিএমপি নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে। কঠোর গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার মাধ্যমে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গত তিন বছরে কোনো নাগরিকের তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।’

তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর পর অপরাধের মাত্রা কমে এসেছে। এ ছাড়া কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তার উদ্‌ঘাটনের হার ৯০ শতাংশের উপর বেড়েছে। আগে ৫০ শতাংশের বেশি রহস্যের উদ্‌ঘাটন করা যেত না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি লক্ষ্য করেছি, ভাড়াটিয়া, বাড়িওয়ালা এবং পুলিশ তথ্য দেওয়া বা সংগ্রহের ক্ষেত্রে মনযোগ হারিয়ে ফেলেছেন। বসিলায় জঙ্গি আস্তানায় র‌্যাবের চালানো অভিযানের পর খোঁজ নিয়ে দেখেছি ভাড়াটিয়া বা মালিক থানায় তথ্য দেননি। এরকম আরো অনেক থাকতে পারে। এজন্য তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে।’

পুলিশের কাছে তথ্য থাকলে চুরি, ছিনতাই, সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র, সন্ত্রাসী বা জঙ্গি হামলার মতো বিষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য পুলিশকে তথ্য দিতে নাগরিকদের আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জুন ২০১৯/নূর/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়