ট্যারিফ কমিশন আইন অনুমোদন
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ট্যারিফ কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর তথ্য গোপন রাখার বাধ্যবাধকতার বিধান রেখে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন- ২০১৯ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এই আইনে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে, পুরনো আইনের ৮ ধারার উপধারা-২ এ কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে সব তথ্য গোপন রাখতে বলা হয়েছে।
শফিউল আলম বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এখানে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা যদি কোনো তথ্য আগেই ফাঁস করে দেয় তাহলে ব্যবসায় প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সংকট তৈরি হতে পারে, অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। এজন্য এই আইনে তাদের জন্য তথ্য গোপন রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কমিশনের কার্যাবলীতে কমিশনের কাজের পরিমাণ অনেক বেশি বাড়ানো হয়েছে। শুল্কনীতি পর্যালোচনা, আন্তর্জাতিক আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, ট্রানজিট ট্রান্সশিপমেন্ট, জেএসপি, শিল্প বাণিজ্য বিনিয়োগ, বিকল্প নীতি এবং বৈদেশিক বাণিজ্যসহ অনেকগুলো বিষয় এই আইনে যুক্ত করা হয়েছে।
শফিউল আলম বলেন, আইনের ১২ ধারায় আরেকটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে সেটা হলো গবেষণা বা সমীক্ষা কাজে সহায়তা করার লক্ষে কমিশন সরকারের অনুমতি নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরামর্শক ও গবেষক নিয়োগ করতে পারবে।
তিনি বলেন, আগে প্রতিষ্ঠানটির গবেষণার ক্ষেত্রে তারা নিজেরা কোনো হ্যান্ডস ডেভেলপ করতে পারেননি। ফলে তারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক কনসালটেন্ট নিয়োগ করতে পারবেন।
সচিব জানান, বঙ্গবন্ধুর আমলে ১৯৭৩ সালের একটি রেজুলেশনের ভিত্তিতে আইনটি অনেক দিন চলে। ১৯৯২ সালে নতুন করে আইন করা হলেও এতে অনেক কিছু ছিল না। সেসব বিবেচনা করে নতুন অনেক বিষয়যুক্ত করে আইনটিকে যুগোপযোগী করা হয়েছে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ জুন ২০১৯/নঈমুদ্দীন/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন