ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

২৫০৫০৬ কোটি টাকার বাজেট

ইভা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ৫ জুন ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২৫০৫০৬ কোটি টাকার বাজেট

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

শ্যামল কান্তি নাগ ও শফিকুল ইসলাম, জাতীয় সংসদ থেকে : জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন তিনি। এটি দেশের ৪৩তম বাজেট।

এবার প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। এতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। ঘাটতি ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা যা জিডিপির ৫ শতাংশ। বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ৮৬ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা আর অনুন্নয়নমূলক ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৪১ কোটি টাকা। এডিপির আকার ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।

সংসদে উপস্থাপনের আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদিত হয়। এরপর বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী।
অর্থমন্ত্রী মুহিতের এটি অষ্টম বাজেট উপস্থাপন। অর্থমন্ত্রী বাজেট-বক্তৃতায় বলেন, ‘মানব উন্নয়ন কার্যক্রম হবে অন্যতম খাত। মধ্যম আয়ের দেশ গড়তে এই বাজেট হবে একটি মাইলফলক।’

প্রস্তাবিত বাজেটে অভ্যন্তরীণ ঋণ ধরা হয়েছে ৪৩ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নেবে ৩১ হাজার ২২১ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণসহায়তা ২৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। রাজস্ববহির্ভূত কর ৫ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা। কর ছাড়া আয় ২৭ হাজার ৬৬২ কেটি টাকা। মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ রাখার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ জনপ্রশাসন খাতে ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ১৩ দশমিক ১, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ৭ দশমিক ১, সুদ খাতে বরাদ্দ ১২ দশমিক ৪, পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতে ৯ দশমিক ৮, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৪ দশমিক ৬, কৃষি খাতে ৭ দশমিক ৬, প্রতিরক্ষা খাতে ৬ দশমিক ৬, সামাজিক নিরাপত্তা ও জনকল্যাণ খাতে ৬ দশমিক ১, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে ৫ শতাংশ।

খাতওয়ারি বরাদ্দের মধ্যে শিক্ষা খাতে ১৫ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা, পরিবহণ খাতে ২৪ হাজার ৪৩৭ কোটি, কৃষি খাতে ১২ হাজার ৩৯০ কোটি, স্বাস্থ্যে ১১ হাজার ১৪৬ কোটি, খাদ্যে ১ হাজার ৬৪৪ কোটি, জ্বালানি খাতে ২ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করমুক্ত রাখা হয়েছে। বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণ আনা যাবে। বাড়ি ভাড়া ২৫ হাজার টাকার বেশি হলে ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়নি। তবে মহিলা ও ৬৫ বছর ঊর্ধ্ববয়সীদের করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, প্রতিবন্ধীদের ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৪ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। কৃষি খাতে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ টাকা।

এবার মূসকের আওতায় আনা হয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, জুয়েলারি, রেস্টুরেন্ট, গাড়ির গ্যারেজ, ডকইয়ার্ড, লঞ্চ ও বাস সার্ভিস, ইমিগ্রেশন উপদেষ্টা ও পরিবহণ ঠিকাদার। নষ্ট বা হারানো মোবাইল ফোনের সিমকার্ডের পুনর্নিবন্ধন কর ধার্য করা হয়েছে ১০০ টাকা।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ জুন ২০১৪/ইভা/শাহনেওয়াজ/নওশের/কমল কর্মকার

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়