ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পুলিশের স্বর্ণ আত্মসাৎ : দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

এম এ রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১৬ জুন ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পুলিশের স্বর্ণ আত্মসাৎ : দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

দুদকের লোগো

নিজস্ব প্রতিবেদক : চোরাচালানের স্বর্ণের বার আত্মসাতের ঘটনায় দায়েকৃত মামলার দুই আসামিকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্য্ন্ত তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদক উপপরিচালক যতন কুমার রায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আদালতের দেওয়া দুই দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনে এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- ভাড়া প্রাইভেট কারের গাড়িচালক সমীর বিশ্বাস ও স্বর্ণ বহনকারী জাহিদ হোসেন ওরফে মাহিম।

এর আগে একই ঘটনায় মামলার অপর আসামি এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম, কনস্টেবল আকাশ চৌধুরী, ওয়াহেদুল ইসলাম, পুলিশের সোর্স মাহফুজ আলম রনি ও গাড়িচালক মো. সজিব সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

এ ছাড়া সাক্ষী হিসেবে  ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম, এএসআই সোহেল মাহমুদ, কনস্টেবল সাইদুল হক, সাইদুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, রবিউল ইসলাম ও গোলাম সরওয়ারসহ ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

গত ১৩ মার্চ সোর্স রনির তথ্যের ভিত্তিতে এসআই মঞ্জুরুল, কনস্টেবল আকাশ ও ওয়াহেদুলসহ বনশ্রী এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। এ সময় প্রাইভেটকারের আরোহীরা পালিয়ে যান। গাড়ি তল্লাশি করে ২৩৫টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।

কিন্তু পুলিশ স্বর্ণগুলো জমা না দিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা করে নেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে জানাজানি হলে রামপুরা থানার পুলিশ কর্মকর্তারা বিপাকে পড়েন।

পরে ১৬ মার্চ কৌশলে প্রাইভেটকারের সিটের মধ্যে ৭০টি স্বর্ণের বার লুকিয়ে রেখে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তা উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়।

পরে প্রাইভেটকারটির চালক সমীর বিশ্বাস এবং স্বর্ণের বাহক জাহিদ হোসেন ওরফে মাহিমকে আটক করে দুইদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

দুই দিনের রিমান্ডের পর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে গ্রেফতারকৃত মাহিম জানান, তারা ২৩৫টি স্বর্ণের বার নিয়ে বনশ্রী এলাকা থেকে পুরান ঢাকার তাঁতী বাজার এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তারা গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যান।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে রামপুরা থানায় ৭ এপ্রিল রাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর দুদকের কর্মকর্তা এমএ রশিদ মামলাটি ঢাকার সিএমএম আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত তা দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেন

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬জুন ২০১৪/এম এ রহমান/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়