ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নুহাশ পল্লীতে অমলিন হুমায়ূন

আমিনুল ই শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ১৮ জুলাই ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নুহাশ পল্লীতে অমলিন হুমায়ূন

নানান স্থাপনায় সাজানো হুমায়ূনের নুহাশ পল্লী

আমিনুল ই শান্ত : রিক্সা চলছে। কিছুক্ষণ আগে হয়ে যাওয়া বৃষ্টি আর শীতল বাতাস মিলে দারুণ উপভোগ্য। যতই সামনে যাচ্ছি ততই বিমোহিত হচ্ছি। কিছু দূর যেতেই খেয়াল করলাম, আকাশের কাল মেঘ আমাদের গ্রাস করছে। তবে প্রকৃতির এমন সজ্জায় আমরা তখন উন্মাদ। কিছুক্ষণ পরেই আবার বৃষ্টি নামল। না পারতে পিরুজালী বাজারে যাত্রা বিরতি দিলাম। এ হচ্ছে বৃষ্টি বিরতি। তবে তার আগেই ভিজে একাকার। তাতে কী, নুহাশ পল্লীতে আজ যেতেই হবে। এ অভিযাত্রার সামনে সবই মলিন। বৃষ্টি বিরতির ফাঁকে ফটো সেশনও চলল কিছুক্ষণ। এরপর কিছুটা চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কেন না আকাশ দেখে মনে হচ্ছিল না এ বৃষ্টি থামবে। তাই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে রওনা হলাম। ভিজতে ভিজতেই গিয়ে হাজির হলাম নুহাশ পল্লীতে। তখন দুপুর আড়াইটা।

বিছানাটা ঠিক আগের মতোই আছে। দুটো বালিশ পাশাপাশি পাতা। একটিতে মাথা রাখার কেউ নেই। তাতে লেগে আছে গায়ের গন্ধ, খানিকটা স্পর্শও! দেয়ালে ঝুলে আছে আয়নাটা। বড় বেশি বিমর্ষ। যেন অপেক্ষায় দিন গুনছে সে, একটি মুখের জন্য। কখন এসে নিজেই নিজেকে দেখে বলবে, ‘কিরে হুমায়ূন কেমন আছিস?’ আরো কত অদ্ভুদ ভঙ্গিতে ভেংচি কেটে দাঁত কেলিয়ে হাসবে। কিন্তু দিন যায় রাত আসে, তার প্রতিক্ষার শেষ হয় না। অপেক্ষায় থেকেই কী লাভ?

ঘরের একপাশে ফাঁকা সোফা। তারপাশে বুকশেলফ। তাতে রাখা আছে কিছু বই। খানিকটা ময়লাও জমেছে বটে। বোধ হয় বহুদিন ছোঁয় না কেউ। সুনসান শুন্য পুরোটা থাকার ঘর। কান পাতলে কারও কান্নার শব্দ কি শুনা যায়! এ এক অদ্ভুদ নিষ্প্রাণ অনুভূতি। হাহাকার করে উঠে ভিতরটা। শোয়ার ঘরটা তালাবদ্ধই থাকে বেশি। আমাদের জন্য খোলা হয়েছিল। কতটা শুন্য হলে মানুষ তাকে শুন্য বলে- এ সুযোগে ঠিক তাই দেখে নিয়েছি।

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়