ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বাঘারপাড়ায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো

সাকিরুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:০১, ১৫ আগস্ট ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাঘারপাড়ায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো

গ্রীষ্মকালীন টমেটোর খেত

সাকিরুল কবীর রিটন, যশোর : গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার চার শতাধিক কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে। তাদের এই সাফল্যে উপজেলার অন্য কৃষকরাও এই টমেটো চাষে এগিয়ে আসছে।

বাঘারপাড়া উপজেলার দাঁতপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেল কৃষকদের সেই সাফল্যের চিত্র। কেবল দাঁতপুর গ্রামেই শতাধিক কৃষক এবার গ্রীস্মকালীন টমেটো চাষ করেছেন। কথা হয় কৃষক আমজাদ আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, আগে যে জমিতে তিনি ধান চাষ করে মওসুমে অনেক কষ্টে আয় করতেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা এখন সেই জমিতে টমেটো চাষ করে পাচ্ছেন ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা। তার দেখাদেখি এখন গ্রামের নুর ইসলাম, জালাল উদ্দিন, তালেব রহমান, দীলিপ কুমারসহ শতাধিক কৃষক গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করে ভাগ্য বদলেছেন।

 

কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও শসা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে সম্প্রতি এখানে ইউএসএআইডি’র সাহায্যপুষ্ট আইপিএম আইএল (সিআরএসপি) বাই ইন প্রজেক্ট, বাংলাদেশের উদ্যোগে মাঠ দিবস পালন করা হয়। এতে উপস্থিত চাষীরা জানান, বালাইনাশকের বিকল্প হিসেবে তারা আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করে আরো বেশি লাভবান হয়েছেন। একদিকে তারা বিষ মুক্ত সবজি বাজারজাত করতে পারছেন। পাশাপাশি চাষ করতে গিয়ে তারা আগেভাগে যে ক্ষতির শিকার হতেন তা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন।

কৃষক জালাল উদ্দিন জানান, আগে কীটনাশক ব্যবহার করে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে তাদের খরচের পরিমাণ ছিল বেশি। আর বালাইনাশক পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে সেই খরচ অর্ধেকে নেমে এসেছে। তিনি জানান, বালাইনাশক পদ্ধতি ব্যবহার প্রথমে জটিল মনে হলেও এতে কৃষকের লাভই বেশি।

যশোর অঞ্চলে আইপিএম-এর ফিল্ড অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তাদের হিসেব অনুযায়ী এখন বাঘারপাড়া উপজেলায় ৩শ ৮৪ জন কৃষক গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করছেন। যাদের বেশির ভাগই আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ আগস্ট ২০১৪/সাকিরুল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়