ফিফটিতে থামলেন সৌম্য-এনামুল-তুষার
ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করতে পারেননি সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়। ছবি: আব্দুল্লাহ এম রুবেল
ক্রীড়া প্রতিবেদক : পঞ্চাশ ছুঁলেন তিনজন। কিন্তু সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয় ও তুষার ইমরানের কেউই সেটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করতে পারলেন না।
ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে প্রথম স্তরের ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে তিন ফিফটিতে প্রথম দিনে ৭ উইকেটে ২৮১ রান তুলেছে খুলনা। জিয়াউর রহমান ৩৭ ও মইনুল ইসলাম ১ রানে অপরাজিত আছেন।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সোমবার সকালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে খুলার শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ১২ রানেই শফিউল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে যান মেহেদী হাসান (১১)। প্রথম সেশনে আরো কোনো বিপদ হতে দেননি এনামুল ও তিনে নামা সৌম্য।
লাঞ্চের আগেই সৌম্য তুলে নেন ফিফটি। জাতীয় লিগের আগের রাউন্ডে এই মাঠেই দুই ইনিংসেই ফিফটি ও এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন সৌম্য। সেই ম্যাচ শেষ করে পরদিন সাভারে এসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে করেন সেঞ্চুরি। আজ আবার জাতীয় লিগে ছুঁলেন পঞ্চাশ।
সেটিকে অবশ্য তিন অঙ্কে রূপ দিতে পারননি ৬৬ রানে আউট হওয়ায়। ৯৬ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ইনিংসটি সাজান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ে ভাঙে ১০১ রানের বড় জুটি।
এনামুলও ফিফটি করে থেমেছেন ৫৬ রানে। ১৭৮ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় তিনি খেলেছেন এই ইনিংস। এরপর দ্রুতই ফেরেন আফিফ হোসেন (১৪)। দলের হাল ধরেন তুষার।
নুরুল হাসান সোহান ও তুষার মিলে দলের স্কোর পার করেন দুইশ। এরপরই ২৫ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক সোহান।
ওদিকে তুষার তুলে নেন ফিফটি। প্রথম তিন রাউন্ডে তিন সেঞ্চুরি করা অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান আরেকটি সেঞ্চুরির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে দিনের শেষ দিকে ৭১ রানে তাকে থামান সানজামুল ইসলাম। ১২৭ বলে ৯ চারে ইনিংসটি সাজান তুষার।
পরের ওভারে ডাক মেরে ফেরেন নাহিদুল ইসলাম। মনিরকে নিয়ে দিনের শেষ কয়েকটা বল কাটিয়ে দেন জিয়া। আলোকস্বল্পতার কারণে প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৮১ ওভার।
৭৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে প্রথম দিনে রাজশাহীর সেরা বোলার সানজামুল। ফরহাদ রেজা ৩৭ রানে ২টি, মুক্তার আলী ও শফিউল নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ অক্টোবর ২০১৮/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন