ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

খালেদার মুক্তির কর্মসূচিতে জোটের একাত্মতা

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৯, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খালেদার মুক্তির কর্মসূচিতে জোটের একাত্মতা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলটির কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা ঘোষণার পাশাপাশি তাতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০ দলীয় জোট।

সোমবার সন্ধ্যায় ২০ দলীয় জোটের বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের সমন্বয়ক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘২০ দলীয় জোটের এই সভায় দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে বিএনপি যে কর্মসূচিগুলো গ্রহণ করেছে, সেই কর্মসূচির প্রতি জোট একাত্মতা ঘোষণা করেছে। তারা এই সব কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করবে। একইসঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জোটের এই সভায় দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে যে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানিয়েছেন জোট নেতারা।’

খালেদা জিয়া কারাগারে যাবার পর তার অনুপস্থিতিতে জোটের প্রধান কে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমি বলতে চাই, দেশনেত্রীই হচ্ছে ২০ দলীয় জোটের নেত্রী। এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই। আমি জোটের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছি।’

বিকেল ৫টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক হয় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে।

মির্জা ফখরুল জানান, বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে টেলিফোনে জোট নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।

তার (তারেক রহমান) বক্তব্যে যেটা এসেছে তা হলো, তিনি জনগণের একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম তৈরি করবার কথা বলেছেন। দেশনেত্রী সর্বশেষ যে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন তাতে জাতী্য় ঐ্ক্য তৈরি করবার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সেটা ২০ দলীয় জোটের নেতারা সমর্থন করেছেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জোটের এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, এই জোটের ঐক্যকে আরো প্রসারিত করবার জন্যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলবে।’

২০ দলীয় জোটের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করে জোটের সমন্বয়ক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী।

জোটের শরিকদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এম এ রকীব, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) খন্দকার গোলাম মূর্তজা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, লেবার পার্টির একাংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, অপর অংশের হামদুল্লাহ আল মেহেদি, জমিয়তে উলামা ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা শাহিনুর পাশা, মাওলানা রেজাউল করীম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ইসলামিক পার্টির সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রেজা/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়