ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার প্রক্রিয়ায় সরকার : ফখরুল

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার প্রক্রিয়ায় সরকার : ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে সরকার ‘গণগ্রেপ্তার করছে’ অভিযোগ করে বিষয়টিকে বিএনপিকে ‘নেতৃত্বশূন্য করার প্রক্রিয়া’ হিসেবে অভিহিত করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব বলেন, ‘তারা (সরকার) একদিকে বলছে, গণতান্ত্রিক কোনো কর্মসূচি, নিয়মতান্ত্রিক কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রী বিদেশ যাওয়ার আগেও বলেছেন। তাহলে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে?’

‘একটা স্থানেও দেখাতে পারবে না কর্মসুচিকে ঘিরে বিশৃঙ্খলা সংঘাত হচ্ছে। তাহলে আজকে এভাবে কেন গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করা। যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে। সেজন্য আরো নীল নকশা করছে।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেশে একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থা তৈরি করতে চাই, জনগণ যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, সরকার সেটা চায় না। চায় না বলেই এসব করছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো স্পেসই দেওয়া হচ্ছে না। এটাই হচ্ছে বড় লক্ষণ যে তারা নকশা তৈরি করেছে যেদিকে তারা যেতে চায়। তারা নাশকতার কথা বলে বাধা দিচ্ছে। নাশকতার তো প্রশ্নই উঠে না। কারণ আমাদের কর্মসূচি হচ্ছে শান্তিপূর্ণ। অথচ নাশকতার কথা বলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপ’ করে গোটা পরিবেশকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করে তিনি।

‘সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান, সকল প্রতিষ্ঠান সংগঠন গণতান্ত্রিক শক্তি এবং সুশীল সমাজের প্রতি অনুরোধ জানাব, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যেখানে গণতন্ত্র আজকে ধ্বংস হতে চলেছে সেখানে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের অধিকারের পক্ষে কথা বলার আহ্বান জানাচ্ছি।’

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সরকার করতে দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

‘গতকাল আমাদের শান্তিপূর্ণ অনশন কর্মসূচি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত করার কথা ছিল। হঠাৎ করে আমাদের বলা হলো দুপুর ১টার মধ্যে কর্মসূচি শেষ করতে হবে। আমরা অশান্তি চাই না। আমরা সংঘাত চাই না বলেই আমরা ১টা পর্যন্ত কর্মসূচি করেছি। এর মধ্যেও আমাদের কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলাগুলোতে কোথাও দাঁড়াতেই দিচ্ছে না।’

বিএনপির মহাসচিব জানান, শিগগিরই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চাইবে বিএনপি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রায়ের কপিতে সই করতে এক সপ্তাহ লেগে গেল। আমরা এখনো সার্টিফায়েড কপি পাইনি। সার্টিফায়েড কপি পেতে পেতে রোববার, এরপর আবার কী হবে। সরকারের লক্ষ্যটাই হচ্ছে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। দলকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রেজা/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়