ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে : ফখরুল

রেজা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৬, ২৯ মে ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে : ফখরুল

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জিয়াউর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দর্শনকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আর সেই শক্তির ধারক খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপি আয়োজিত দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৩তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। দর্শক সারিতে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করলেও কোনো বক্তব্য রাখেননি তিনি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের আদর্শ, সংগ্রাম, দর্শনকে উপজীব্য করে লড়াই করতে হবে। স্বাধীন ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক করে লাভ নেই। জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এটা প্রমানিত বলেও দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘তাজউদ্দিন আহমেদের মেয়ে শারমিন আহমেদও তার বইয়ে লিখেছেন শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে চাননি। তাজউদ্দিন আহমেদ স্বাধীনতা ঘোষণার খসড়া ও টেপ রেকর্ডার নিয়ে গেলেও তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) ২৭ তারিখ হরতাল দেওয়ার কথা জানিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পরামর্শ দেন।’

দেশ কঠিন সময় পার করছে উল্লেখ করে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘অবৈধ ও স্বঘোষিত’ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জগদ্দল পাথরের মত দেশের জনগণের ওপর চেপে বসেছে।

র‌্যাবের ভালো কাজগুলোর উদাহরণ টেনে অনেকে এ বাহিনীর সংস্কারের পক্ষে কথা বলছেন। এ প্রসঙ্গ ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘র‌্যাবের সব সাফল্যই হয়েছে বিএনপির আমলে। কারণ দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে র‌্যাব সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন এবং হত্যা, গুমের কাজে ব্যবহার করেছে। সেজন্য বিএনপি এর বিলুপ্ত দাবি করেছে।’

দেশ দম বন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এ অবস্থা উত্তরণে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠন করতে হবে।’

বিএনপি আয়োজিত এ আলোচনা সভায় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ১৯ দলের অন্যতম নেতা এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, আর এ গনি, মির্জা আবাস, এম কে আনোয়ার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাহান ওমর, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯মে ২০১৪/রেজা/শামসুল  

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়