পশুর হাটগুলোতে এখনো জমেনি বেচাকেনা
ছবি : শাহীন ভূইয়া
আবু বকর ইয়ামিন : দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। আর মাত্র তিন দিন পরেই কোরবানির ঈদ। রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে পর্যাপ্ত পশু আনা হলেও এখনো ততটা জমেনি বেচাকেনা। বিক্রেতারা বলছেন, কাল-পরশু থেকে কেনাবেচা বাড়বে।
ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বসছে অস্থায়ী পশুর হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পশুবোঝাই ট্রাক ছুটছে সেসব হাটের দিকে। তবে হাটগুলোতে এখনো প্রত্যাশিত পরিমাণে বেচাকেনা হয়নি। ক্রেতারা হাটে হাটে ঘুরে গরু দেখছেন, দাম যাচাই করছেন। দু-একজন পশু কিনলেও অধিকাংশই কিনছেন না। যাচাই শেষে হয়তো ঈদের এক-দুই দিন আগে কোরবানির পশু কিনবেন। এদিকে, গরুর দাম কমাচ্ছেন না ব্যাপারীরা।
কমলাপুর লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন বালুর মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে ব্যাপারীরা গরু নিয়ে এসেছেন। অনেক ক্রেতা পশু দেখছেন। তবে অনেকেই এখনো কিনছেন না। তারা বলছেন, ব্যাপারীরা এখনো দাম ছাড়ছে না।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট গাবতলি, মোহাম্মদপুরসহ অন্যান্য হাটে খোঁজ নিযে জানা যায়, ক্রেতারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাকে করে গরু নিয়ে আসছেন। তবে ব্যাপারীরা চড়া দাম চাওয়ার কারণে এখনো বেচাকেনা তেমন জমে উঠেনি।
আসগর হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, যে গরু গত বছর দেখলাম ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা, সে গরু এখন চাওয়া হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এত দামে কেনা যায় না। দেখি শেষের দিকে হয়তো দাম কমবে। তখন নেওয়া যাবে। আশা করছি, এত দাম থাকবে না।
ব্যাপারী কামাল হোসেন বলেন, বেচাবিক্রি নেই। মানুষজন আসছেন, দেখছেন, যাচাই-বাছাই করতেছেন। দুই-একদিন পর হয়তো বিক্রি শুরু হবে। এবার দেশি গরুর চাহিদা বেশি।
বেলাল মিয়া নামের এক সরকারি চাকরিজীবী বলেন, আমরা তিন ভাই মিলে কোরবানি করি। বাজার যাচাই করতে এলাম। বাসায় গরু রাখাটা একটু সমস্যা হয়ে যায়। এখন দেখে যাচ্ছি। সোম, মঙ্গলবারের দিকে সুযোগ করে কিনে নেব। তবে এবার দামটা একটু বেশি।
পশুর হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন বেলাল মিয়া।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ আগস্ট ২০১৮/ইয়ামিন/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন