ঐক্যবদ্ধভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

তাঁদেরকে অভিনন্দন জানানোর লক্ষ্যে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য), ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) যৌথভাবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আজ।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলিব্রেটি হলে সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, পরিচালক দিদারুল আলম ও পরিচালক মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউক। এছাড়াও বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, আইএসপিএবি’র সভাপতি এম এ হাকিম, বাক্যে’র সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ এবং ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার। অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এক হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত বক্তব্যে বেসিস সভাপতি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের অভিভাবক হিসেবে এমন দুজন মানুষকে বেছে নেয়ার জন্য যাঁরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আদ্যপান্ত পুরোটাই জানেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা চলছে তা বেগবান হবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায়। বেসিস দীর্ঘদিন ধরেই তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বেসিস আজকের মতো আগামী দিনেও সবার সঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে।’

এছাড়াও নিজ নিজ বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার এবং জুনাইদ আহমেদ পলককে শুভেচ্ছা জানান বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, আইএসপিএবি’র সভাপতি এম এ হাকিম, বাক্যে’র সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ এবং ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বেসিস, বিসিএস, আইএসপিএবি, বাক্য এবং ই-ক্যাবকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি আয়োজনের জন্য। তথ্যপ্রযুক্তি খাত আজ যে উচ্চতায় আসীন হয়েছে তার কৃতিত্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পাশাপাশি খাতসংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনগুলোরও। তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন একসঙ্গে মিলে কাজ করছে বলেই তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা নিজেদের চ্যালেঞ্জের কথা জানাতে পারছেন এবং সরকারের তরফ থেকে বরাদ্দকৃত প্রণোদনা সঠিকভাবে পাচ্ছেন। আমরা সরকারি-বেসরকারি এ মেলবন্ধন আরো অনেক দূর এগিয়ে নিতে চাই। একসঙ্গে আমরা গড়বো প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠনগুলেরা কাজের পরিসর ও চ্যালেঞ্জ আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনা সম্পর্কেও আমি ওয়াকিবহাল। সৌভাগ্যের বিষয় বেসিস, বিসিএস, আইএসপিএবি, বাক্য এবং ই-ক্যাব নিজ নিজ সদস্যদের তথা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের চাহিদা এবং চ্যালেঞ্জের প্রকৃত তথ্য আমাদের সামনে তুলে ধরছে এবং সরকারও সে মাফিক কাজ করে এসেছে, করবেও। স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণ ও স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা বাড়লেই সুদৃঢ় হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি আমরা। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আশা করি উন্নয়নের এ ধারা আমাদের সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আরো বেগবান হবে।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জানুয়ারি ২০১৯/ফিরোজ