ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

এরকম খেলতে থাকলে একই ফল হবে : মাহমুদউল্লাহ

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এরকম খেলতে থাকলে একই ফল হবে : মাহমুদউল্লাহ

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে : বোলিং ভালো হয়নি। ব্যাটিংটাও হয়েছে বাজে। তাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। ৭৫ রানের বড় হারের পর হতাশা ঝরল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। এই মাঠে আগের ছয়টি আন্তর্জাতিক ম্যাচই জিতেছিল পরে ব্যাটিং করা দল। রোববার টস জিতে তাই শ্রীলঙ্কাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের নির্বিষ বোলিংয়ে ২১০ রানের বড় পুঁজি গড়ে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ২২ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৩৫ রানেই।

নিজেদের ভুলগুলো শোধরাতে না পারলে দল এমনভাবে হারতেই থাকবে বলে মনে করেন অধিনায়ক। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, 'আমার মনে হয় যে ভুলগুলা প্রতিনিয়ত করছি, এর মাশুল প্রতি ম্যাচেই দেখছি। এই জিনিসটা থেকে বের হতে হবে। এ ছাড়া মনে হয় না কোনো পথ আছে। এরকম খেলতে থাকলে একই ফলই হবে। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা টেকটিক্যাল পরিকল্পনা বলেন, মাঠে সেগুলো ঠিকমতো প্রয়োগ করতে হবে।'

ভুল আসলে কোনগুলো? মাহমুদউল্লাহ বললেন, 'আমার মনে হয় ভুলগুলো আসলে প্রয়োগহীনতা। এর বাইরে ভুল দেখছি না। নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা থাকতে হয় আর সাহসী হতে হয়। না হলে টিকে থাকা মুশকিল টি-টোয়েন্টিতে। আপনাকে ঝুঁকি নিতে হবে। প্রতি ওভারে ১২-১৩ রান হচ্ছে, এর অর্থ অতিরিক্ত কিছু চেষ্টাও করছেন না। আপনাকে উইকেট নিতে হবে। পাওয়ার প্লে’তে তারা বড় রান পেয়েছে। আমরা তিনটা উইকেট হারিয়েছি। এটা একটা ব্যবধান ছিল। টি-টোয়েন্টি প্রথম ছয় ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি ব্যাটিং করি তবে দ্রুত রান করতে হবে। আর বল করলে উইকেট নিতে হবে।'

বোলিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার উইকেটই ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে গড়তে পারেনি বড় কোনো জুটি। যেখানে শ্রীলঙ্কার প্রথম দুটি জুটিই পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে, প্রথমটি তো ৯৮ রানের। আরও একটি জুটি পঞ্চাশের কাছে গেছে (৪৫)। সেখানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ৪২।  

প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৭১ রান। সেখানে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ তুলতে পারে মাত্র ৪০ রান, উইকেট হারায় ৩টি। এগুলোই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ।

‘আমার মনে হয়, বোলিংয়ে  ১২-১৩ ওভার থেকে ডেথ ওভার বোলিং শুরু করে দিয়েছে। উইকেট না নিলে কঠিন। না হলে ফিরে আসা কঠিন। আর ব্যাটিংয়ে জুটি গড়তে পারিনি। ২০০ রান তাড়া করতে হলে পাওয়ার প্লে’তে অবশ্যই ৬০ বা ৬৫ রান করতে হবে। যেটা হয়তো বা শেষ ম্যাচে হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবার হয়নি। আমার কাছে খুব হতাশার।'- বলেছেন মাহমুদউল্লাহ।

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হয়েছিল চারজনের। ১৯৩ রান করেও ৬ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও অভিষেক হয়েছে দুইজনের। প্রথম ম্যাচের দল থেকে দ্বিতীয় ম্যাচে পরিবর্তন আসে মোট ৪টি। বেশি পরিবর্তনই কি তাহলে হারের কারণ? মাহমুদউল্লাহ অবশ্য তেমনটা মনে করেন না।

তার ভাষ্য,‘যাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তারা দলে আসার দাবি রাখে। হয়তো বা চেষ্টা করছি ঠিক কম্বিনেশনটা তৈরি করতে… এর খোঁজে আছি এখনো। খুব শিগগিরই আমাদের সেরা কম্বিনেশন ঠিক করতে হবে। না হলে আমরা বড় সমস্যায় পড়ে যাব। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে  ব্যাটসমানরা স্বাধীনতা নিয়ে খেলে। উইকেট খুব ভালো ছিল। আমরা চিন্তা করছিলাম ড্যামেজটা যত কম করা যায়। স্কোরটা ১৮০-১৯০ এর মধ্যে থাকলে ভিন্ন হতো। মাইন্ডসেটও ভিন্ন থাকতে পারত। দুইশ রানের চাপ অন্য রকম। এই জিনিসগুলা আমাদের বের করতে হবে।’



রাইজিংবিডি/সিলেট/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/পরাগ/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়