ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

যে প্রেক্ষাগৃহে এখনো চলে পর্নো ছবি

রাশেদ শাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ১২ আগস্ট ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যে প্রেক্ষাগৃহে এখনো চলে পর্নো ছবি

ছবি : সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক : সময় এখন পাল্টে গেছে। যে কেউ চাইলেই যখন-তখন, যেখানে খুশি বসে দেখতে পারেন পর্নো ছবি। মোবাইল, ট্যাবলেট, কম্পিউটার সব মাধ্যমেই সব ধরনের পর্নো সহজলভ্য হয়েছে ইন্টারনেটের কল্যাণে। এই সহজলভ্যতা সিনেমা হল মালিকদের বিপাকে ফেলেছে। তবে প্যারিসের প্রেক্ষাগৃহের ক্ষেত্রে এই কথাটি কোনোভাবেই খাটে না। খবর রয়টার্সের।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একটা সময় প্যারিসের অনেক প্রেক্ষাগৃহেই পর্নো ছবি প্রদর্শন করা হতো। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেক হলই বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যতিক্রমী ‘ল্য বেভারলি’। এখন প্যারিসে একমাত্র অনুমোদিত পর্নো সিনেমা হল এটি। মজার বিষয় হচ্ছে, হলটিতে এখনো প্রতি সপ্তাহে ৭০০ মানুষ পর্নো ছবি দেখেন এবং তারা সবাই প্রায় নিয়মিত।

গত শতকের সত্তরের দশক থেকে ৩৫ মিমি ফিল্মের ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে ল্য বেভারলিতে। হলটির বর্তমান মালিক মোরিস লারশ এটির সঙ্গে যুক্ত আছেন ৩০ বছর ধরে। দর্শকদের প্রায় সবাই পরিচিত তার। তিনি বলেন, ‘অনেক দর্শককে আমি এখানে আসার পর থেকে দেখছি। ৩০ বছর ধরে নিয়মিত তারা এখানে আসছেন। তাদের কর্মজীবন থেকে শুরু করে অবসর জীবন– সবই জানা আমার।’

একনিষ্ঠ এই দর্শকরা ল্য বেভারলির ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বিগ্ন। প্যারিসের কেন্দ্রের এক গলিতে অবস্থিত হলটির আশপাশে আরো কয়েকটি হলে একসময় পর্নো সিনেমা দেখানো হতো। সেগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি কয়েক বছর আগেও সপ্তাহে হাজার খানেক মানুষ ল্য বেভারলিতে ভিড় করত। এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৭০০তে। তাই দর্শকদের এমন উদ্বেগ স্বাভাবিক।

মোরিস লারশের কাছে অবশ্য ব্যবসাটা বড় কথা নয়। বরং একনিষ্ঠ দর্শকদের সঙ্গে তার কাছেও ভালো লাগে। তাই নিজে অবসরে যাওয়ার আগ অবধি এই হলের দরজা বন্ধ হবে না বলে জানান তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমার দর্শকরাও একে অপরকে অনেক দিন থেকে চেনেন। তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে।’

ল্য বেভারলিতে একত্রে ১২০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। হলটিতে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় দুপুরের শোতে। কারণ ব্যাখ্যা করে মোরিস লারশ বলেন, ‘আমার দর্শকরা ঠিক রাতের বেলায় দৌড়ে মেট্রো ধরার বয়সের নয়। তারা বরং ধীরেসুস্থে এখানে আসেন, ছবি দেখেন, তারপর ফিরে যান।’

বেভারলির দর্শকদের গড় বয়স ষাটের কাছাকাছি। হলের বর্তমান টিকিট মূল্য জনপ্রিয় ১২ ইউরো করে। গত ছয় বছর ধরে টিকিটের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। দর্শকরাও এতে সন্তুষ্ট।

মোরিস লারশ নিজে অবশ্য পর্নো ছবি তেমন দেখেন না। গোটা জীবনে হাতে গোনা দু-তিনবার এরকম ছবি দেখেছেন তিনি। সিনেমা হলে এই ব্যবসার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। সেটা জানেন তিনি। তবু অনুগত দর্শকদের জন্য হলটি চালু রেখেছেন তিনি। তাই যত দিন তিনি আছেন, তত দিন চলবে ল্য বেভারলি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ আগস্ট ২০১৪/রাশেদ শাওন/শান্ত /এএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়