চেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশা
টনটন থেকে ইয়াসিন হাসান : দুই বিশ্বকাপের মাঝে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯ ম্যাচে জিতেছে ৭টিতে।
জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপে নেই। র্যাঙ্কিংয়ে তারা বাংলাদেশ থেকে অনেক পিছিয়ে। অথচ শেষ চার বছরে তাদের বিপক্ষে ৮ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জয়ের শতভাগ রেকর্ডও আছে। অবশ্য দলের বর্তমান অবস্থায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারাটাও ক্রিমিনাল অফেন্স! বাংলাদেশ আরেকটি দলের বিপক্ষে জয়ের প্রায় শতভাগ রেকর্ড ধরে রেখেছে।
দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ চার বছরে ৯টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জিতেছে ৭টিতেই। ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। নিরপেক্ষ মাঠে বাংলাদেশ ওদেরকে হারিয়েই তো জিতেছে প্রথম ত্রিদেশীয় শিরোপা।
জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকা বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আরেকটি জয় পেতে মুখিয়ে। তবে কাজটা অনেক কঠিন। এবারের লড়াইটা বিশ্বকাপের মঞ্চে। তবুও চেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়ের প্রত্যাশা করছে পুরো দল। অতীত পরিসংখ্যান আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। দিচ্ছে প্রেরণা।
লে দুই দলের পয়েন্টই সমান। কিন্তু বিশ্বকাপের এ মুহূর্তে আমরা আমাদেরকে নিয়েই চিন্তা করছি। আমাদের এই ম্যাচের পর আরও চারটি ম্যাচ আছে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমনিতেই শেষ ৩ ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েছি। এই ম্যাচ থেকে পূর্ণ ২ পয়েন্ট পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাব।- বলছিলেন মাশরাফি।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ এগিয়ে থেকে এ ম্যাচে মাঠে নামছে বলে মনে করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। মাশরাফি তা মানতে নারাজ। ‘দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হলে এসব কাজ করে। এই ধরনের টুর্নামেন্টে একেক দিন একেক প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলতে হয়। কাজেই একই রকম পরিকল্পনায় নামা যায় না। পরদিন আরেকজনের সঙ্গে খেলা। অন্যভাবে চিন্তা করতে হয়। আগের ৯ ম্যাচের সাতটি জিতেছি মানে এই না যে এখানে এসে সহজে জিতে যাব।’- বলেছেন মাশরাফি।
আর হোল্ডারের মত,‘আপনি যদি ৯ ম্যাচের ৭টিতেই জেতেন তাহলে অবশ্যই আপনি ফেভারিট। আমরা সম্প্রতি অনেক ম্যাচ খেলেছি এবং বাংলাদেশ ভালো করেছে। তবে এটা ভিন্ন মঞ্চ। এরই মধ্যে কয়েকটি ক্লোজ ম্যাচ হয়েছে। এক-দুটি আপসেটও হয়েছে। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে মুখিয়ে আছি।
বাংলাদেশ সেমিফাইনালের দৌড়ে যেসব ম্যাচ টার্গেট করেছে তার মধ্যে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। তাই টনটনে জয়ের প্রত্যাশা করছে পুরো দল। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের দুঃস্মৃতি কাটিয়ে টনটনে এসে পুরো দল রয়েছে চনমনে। দলের প্রত্যেক ক্রিকেটার রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ঊরুতে চোট পাওয়া সাকিব ও অনুশীলনে ডানহাতের কব্জিতে ব্যথা পাওয়া মুশফিক পুরোপুরি ফিট মাঠে নামার জন্য। তবে মাঠে নামার আগে স্বস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। পেস অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল এ ম্যাচে খেলবেন না। পুরোনো হাঁটুতে নতুন করে চোট পাওয়ায় তার খেলা হবে না।
বাংলাদেশ যেভাবে বিশ্বকাপের মঞ্চে এসেছিল ঠিক সেই অবস্থায় ফিরেছে। পুরো দলের শারীরিক ভাষাতে স্পষ্ট যে শেষ পাঁচ ম্যাচে তারা ভিন্ন মেজাজে খেলবে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে একটি জয় আত্মবিশ্বাস বাড়াবে দ্বিগুন। ‘আমাদের সেমিফাইনাল যেতে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। এখন পাঁচটি ম্যাচ আছে। একটি একটি করে ম্যাচ আগানো ভালো। আপনাকে ইতিবাচক চিন্তা করে সব ম্যাচেই ভালো পারফর্ম করতে হবে। আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে পারব। এবং আমি নিশ্চিত যে আমার দলও তা-ই বিশ্বাস করে।’ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দুই দল খেলেছে ৪টি ম্যাচ। বৃষ্টিতে পন্ড একটি। বাকি তিনটিতেই ক্যারিবীয়ানদের দাপুটে জয়। এবার বিশ্বকাপে ক্যারিবীয়ান বধের পালা।
রাইজিংবিডি/টনটন/১৭ জুন ২০১৯/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন