মা’কে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের ‘ফাইনাল’ দেখার আমন্ত্রণ!
নটিংহ্যাম থেকে ইয়াসিন হাসান : ‘মা খুব খেলা পাগল। টিভিতে বাংলাদেশের সব ম্যাচ দেখে। ইশ সত্যিই যদি বাংলাদেশ ফাইনাল খেলে মাকে এখানে নিয়ে আসব’ – ট্রেন্ট ব্রিজ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ দেখতে এসে এভাবেই নিজের অনুভূতি রাইজিংবিডি’র কাছে প্রকাশ করছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি জামাল হোসেন।
নোয়াখালীর বাসুরহাট তার আসল ঠিকানা। মা রয়েছে সেখানেই। ক্রিকেট পাগল মায়ের জন্য আজ স্টেডিয়ামে একটি পোস্ট কার্ড বানিয়েছেন জামাল। তাতে লিখছেন, ‘মা ১৪ জুলাই লর্ডসে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের জন্য তুমি বিমানের টিকিট বুকিং দাও।’ পোস্ট কার্ডের পেছনে বিশ্বকাপের চার সেমিফাইনালিস্টসহ পয়েন্ট টেবিল তৈরি করেছেন জামাল ও তার বন্ধু-ভাইয়েরা। তাদের বিশ্বাস, ৯ ম্যাচে ৫ জয়, ৩ পরাজয়সহ মোট ১১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ দল হিসেবে বাংলাদেশ যাবে সেমিফাইনালে। শেষ চারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ যাবে ফাইনালে। আর অপর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড হারাবে ভারতকে।
এমন বিশ্বাসের ওপরই তো তাদের ক্রিকেট পাগলামি। জার্সি গায়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে আজ তারা ট্রেন্ট ব্রিজে। শুধু জামালেরাই নয়, মাঠে উপস্থিত হয়েছেন আরো হাজার হাজার বাংলাদেশি। একজনের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল,‘আমরা হক্কলে বাংলাদেশি, দেশ বিদেশে বেটা গিরী।’ বাংলাদেশে যেমন খেলা হলে রাস্তায় রাস্তায় রং দিয়ে গালে, হাতে কিংবা পুরো মুখে বাংলাদেশের পতাকা, বাংলাদেশের নাম লেখা হয় এখানেও তেমনটা হচ্ছে। বাংলাদেশের লাল জার্সি গায়ে মাঝবয়সি একজন মুখের একপাশে বাংলাদেশের পতাকা এঁকেছেন। আরেকপাশে ডোরাকাটা টাইগার।
বাংলাদেশকে সমর্থন করতে ম্যানচেষ্টার থেকে চলে এসেছেন পাঁচ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। ক্রিকেট নিয়ে তাদের উন্মাদনার শেষ নেই। ইংল্যান্ডে দীর্ঘদিন পর পর বাংলাদেশ খেলতে আসে, আর বাংলাদেশে তাদের খেলা দেখার সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাই ম্যানচেস্টার থেকে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে তারা এসেছেন প্রিয় দলের জন্য গলা ফাটাতে। অনেকেই এসেছেন পরিবার নিয়ে। অনেকেই এসেছেন একা। সবার একটাই চাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরেকটি জয়।
ট্রেন্ট নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন্ট ব্রিজ স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ১৫,৩৫০। স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে বাংলাদেশিদের যে ভিড় দেখা গেছে, মাঠের দখলে থাকবে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
রাইজিংবিডি/নটিংহ্যাম/২০ জুন ২০১৯/ইয়াসিন/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন