ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন
ইসমাইল হোসেন স্বপন || রাইজিংবিডি.কম
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে ইতালির রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের ফলে ইতালি সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে সীমিত আকারে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
এদিন সকাল ১০টায় ইতালির রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার। পরে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বাংলাদেশ দূতাবাসে পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শুরু হয়। এরপর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় গৌরবান্বিত জীবনের ওপর আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, ‘ছোটকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন নির্ভীক, অমিত সাহসী ও মানবদরদী। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাঙালিকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি প্রদান করা। গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি সারাজীবন আন্দোলন করেছেন এবং বিভিন্ন মেয়াদে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানের কারাগারে কেটেছে প্রায় ১৩ বছর। বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব সমগ্র জাতিকে একসূত্রে গ্রথিত করেছিল, যার ফলে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ শুরু করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু তিনি এ কাজ সমাপ্ত করার আগেই ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে শহীদ হন। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন।’
এ ক্ষেত্রে সবাইকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সবশেষে, বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নিহত সব শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং করোনাভাইরাস থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীর মুক্তির জন্য মোনাজাত করা হয়।
স্বপন/জেনিস
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন