ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ব্রিধান-৪৮ রোপণে ব্যস্ত ধামইরহাটের কৃষক

ধামইরহাট (নওগাঁ) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ৯ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
ব্রিধান-৪৮ রোপণে ব্যস্ত ধামইরহাটের কৃষক

ধামইরহাটে ইরি-বোরো মৌসুমের পর এবার ব্রিধান-৪৮ রোপণে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণী।

উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা যায়, উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৪৮ বীজতলা থেকে ধানকাটা পর্যন্ত পরিপূর্ণ হতে ১০০ থেকে ১১০ দিন সময় লাগে। অন্যান্য ধানের তুলনায় এ ধানে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ সার ও পানি কম লাগে। উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান- ৪৮ বিঘা প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ মণ ফলন হয়। এই ধান দেখতে অনেকটা চিকন ও খেতে সুস্বাদু ।

এবছর কৃষি বিভাগের নিজস্ব উদ্যোগে ৭শ ৫০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে মাথা প্রতি কৃষকের মাঝে ১০ কেজি এমওপি, ২০ কেজি ডিএপি সার ও ৫ কেজি করে ধানের বীজ প্রদান করা হয়েছে বলে কৃষিবিভাগ নিশ্চিত করেছে।

ধামইরহাটের দক্ষিণ চকযদু ৭ নং ওয়ার্ডের কৃষক সেকেন্দার আলী বলেন, ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এবারই প্রথম উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান- ৪৮ মাঠে রোপণ করেছি। তাছাড়া এর খরচ অনেক কম, আশা করি অল্প সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারবো।'

আরেক কৃষক জয়মুত আলী বলেন, ‘ব্রিধান-৪৮ এর নাম আগে কখনো শুনিনি। একদিন উঠোন বৈঠকে লিফলেটের মাধ্যমে ব্রিধান- ৪৮ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারি এবং পরবর্তীতে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এ ধান রোপণে আগ্রহী হই। তাছাড়া ব্রিধান- ৪৮ চাষ করার পরেও আমরা পরবর্তীতে তিনটি ফসল ঘরে তুলতে পারবো এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। কৃষি অফিসের প্রণোদনায় আমাকে ১০ কেজি এমওপি, ২০ কেজি ডিএপি সার ও ৫ কেজি করে ধানের বীজ দেওয়ায় আমি উপকৃত হয়েছি।'

এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেলিম রেজার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এই করোনাকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রীর আহ্বান- ইরি ধান কাটার পর উপজেলায় এক চুল পরিমাণ আবাদী জমি যেন পড়ে না থাকে। আমি এবং আমার পুরো টিম নিরলসভাবে সে আহ্বান অনুযাযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।'

 

অরিন্দম/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়