ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পাহাড়ের প্রকৃতি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান

বিজয় ধর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪১, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পাহাড়ের প্রকৃতি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান

রাঙামাটি সংবাদদাতা : পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় সকলকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, পাহাড়ে আবারো নতুন নতুন সবুজ বনায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে রিজার্ভ ফরেস্ট সৃষ্টির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি ব্র্যাক ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কর্মপরিকল্পনা গ্রামীণ পর্যায়ে বাস্তবায়নে অংশগ্রহণকারী জনপ্রতিনিধিদের প্রতি এই আহ্বান জানান।

বুধবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ‘জনগোষ্ঠীর জলবায়ু বিপদাপন্নতা নিরূপণ এবং স্থানীয় আপদ সহনশীল পরিকল্পনা প্রণয়ন’ বিষয়ক সেমিনারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এই আহ্বান জানান।

ইউএনডিপির ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রসেনজিৎ চাকমার সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছাদেক আহমদ, ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের প্রোগ্রাম হেড আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান, ইউএনডিপির কর্মকর্তা বিপ্লব চাকমা, ব্যাকের রাঙামাটির জেলা সমন্বয়ক সমীর কুমার কুন্ডু প্রমুখ।

চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বেশি হুমকিতে আছে পার্বত্য রাঙামাটি। গত ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে ১২০টি তাজা প্রাণ হারাতে হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরো রাঙামাটি জেলা। অসংখ্য পাহাড় ধসের কারণে পার্বত্য রাঙামাটির ভৌগলিক পরিবর্তন হয়েছে। তিনি এই ঝুঁকি মোকাবেলায়  আরো কী কী করণীয় আছে, তা খুঁজে বের করে পার্বত্য জনগণকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।

সেমিনারে পার্বত্য তিন জেলার জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ইউএনডিপি ডেনমার্ক সরকারের সহায়তায় সিএইচটি ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্স প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান) তা বাস্তবায়ন শুরু করেছে।

২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে প্রকল্পটি তিন পার্বত্য জেলার ১০টি উপজেলায় ১০ হাজার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে, যারা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের কারণে বেশি বিপদাপন্ন।

উপজেলাগুলো হলো রাঙামাটির সদর, জুরাছড়ি, বরকল ও বিলাইছড়ি উপজেলা। খাগড়াছড়ির খাগড়াছড়ি সদর, মহালছড়ি, গুইমারা এবং বান্দরবানের বান্দরবান সদর, রুমা ও লামা উপজেলা।


রাইজিংবিডি/রাঙামাটি/১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯/বিজয় ধর/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ